সম্প্রতি নামকরা হাসপাতালের এক সিনিয়র ডাক্তার তাঁর অধীনে থাকা জুনিয়র ডাক্তারকে শিক্ষা দেওয়ার নামে এমন শাস্তি দিয়েছেন যাতে ওই জুনিয়র ডাক্তারের শুধু মর্যাদাই ক্ষুণ্ণ হয়নি, নারীদের প্রতি ওই ডাক্তারের উগ্র মনোভাবও এতে প্রকাশ পেয়েছে। ডা. এডউইন চন্দ্রহরণ পরীক্ষা নেওয়ার সময় প্রেজেন্টেশনের সঠিক উত্তর দিতে না পারায় জুনিয়র এক ডাক্তারকে জামাকাপড় খুলে ফেলতে বলেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ডা. চন্দ্রহরণকে বরখাস্ত করা হয়। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন (Sexual Harassments in Workplace)।
advertisement
ডরসেটে (Dorset) প্রশিক্ষণের সময়, একটি প্রেজেন্টেশনের অনুশীলনের জন্য, চন্দ্রহরণ জুনিয়র মহিলা ডক্টরকে তাঁর হোটেল রুমে ডেকে নেন, যেখানে তিনি ভুল উত্তরের জন্য শাস্তি দেওয়ার নামে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার পর আরেকটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যেখানে আরেক ভুক্তভোগী জানান, কনসালটেন্ট গাইনোকোলজিস্ট চন্দ্রহরণ তাঁকেও যখন-তখন বডি মাসাজ করে দিতে বলতেন। এর আগে, একটি কনফারেন্স চলাকালীন তিনি অন্য একজন মহিলা ডাক্তারকে তাঁর সঙ্গে হোটেলের রুম ভাগ করে নিতে বাধ্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন-Viral News: জঞ্জালের স্তূপে পড়ে থাকা কালো ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে এল বিশাল পাইথন! তার পর?
অন্য আরেকটি ঘটনার সময়, এক জুনিয়র ডাক্তার হোটেল রুমে কাজ করছিলেন, ওই সময়ে চন্দ্রহরণ তাঁর ঘাড় মালিশ করতে শুরু করে দেন এবং জুনিয়র ডাক্তার অস্বস্তিতে পড়ে তাঁকে চড়ও মারেন। ক্ষুব্ধ উভয় মহিলা ডাক্তারই এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন এবং অন্যান্য মহিলাদের সমর্থন নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলেছেন।
ডা. এডউইন চন্দ্রহারনকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ লন্ডনের সেন্ট জর্জ ইউনিভার্সিটি হসপিটালস এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কারণ ছিল একজন মহিলা ডাক্তারের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ। সেখানে তিনি লেবার ওয়ার্ডে ১৫ বছর কাজ করেন। যদিও, চন্দ্রহরণ এই বছর হাসপাতালের ট্রাস্টের বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি একজন ব্রিটিশ এশিয়ান হওয়ার কারণে ভুলভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগও অআনা হয়, যা পরে আদালত কর্তৃক প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।