একটি বিস্ময়কর অপটিক্যাল বিভ্রম যাতে দেখা যায়, দুটি লোক একটি গভীর স্থানের একেবারে প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন। যা দেখে মানুষ দুঃশ্চিন্তাও হতে পারে। তবে আমরা আপনাকে বলে রাখি যে ছবিতে কোনও পরিবর্তন নেই। কিংবা প্রতারণা করা হয়নি। ছবিটি ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রালের ভিতরে তোলা হয়েছিল, যা আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্ট মেরির ক্যাথেড্রাল অফ দ্য ফ্লাওয়ার নামে পরিচিত। এই ছবির সত্যতা জানতে হলে এই ছবিটি অন্য কোন কোণ থেকে দেখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন -সৌরভের বাড়িতে অমিত শাহের নৈশভোজের মেনুতে দই-রসগোল্লা ছাড়া আর কী কী থাকছে ?
ছবিটি একটি পবিত্র স্থানের। যেখানে গভীরতম স্থানের দেয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন মানুষকে দেখে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। মনের মধ্যেও অনেক প্রশ্ন জাগে যে, এত দিনে এই দুই ব্যক্তি কী ভাবে এমন জায়গায় নিজেদের ভারসাম্য তৈরি করলেন? প্রকৃতির মাধ্যাকর্ষণ নিয়মকে তাঁরা কী ভাবে ভুল প্রমাণ করতে পারবেন? কিন্তু তখনই এই জায়গার আরেকটি ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, যা দেখে মুখ চোখ কপালে উঠে যায়। জায়গাটা একই ছিল, তীরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোও একই ছিল এবং সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু ছবির অ্যাঙ্গেল বদলানোও পুরো ছবিটাই বদলে গেল।
আরও পড়ুন -দিদি বাঙালি, তাই বাঙালি মতে দই-রসগোল্লা খাওয়ানোর কথা বলেছেন, শাহ প্রসঙ্গে সৌরভ
ষোড়শ শতাব্দীতেও এমন বিভ্রম ছিল যা মানুষের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। প্রকৃতপক্ষে, লোকেরা যাকে একটি গর্ত বলে মনে করেছিল তা আসলে ঐতিহাসিক ক্যাথেড্রালের মেঝে সাজানোর জন্য মেঝেতে তৈরি টাইলসের একটি অস্বাভাবিক প্যাটার্ন। এর অবিশ্বাস্য এবং অসাধারণ স্থাপত্য এবং অভ্যন্তরীণ কারুকার্য এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্যাথেড্রালগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।