TRENDING:

Satellite: কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে পাঠানো হয় মহাকাশে? কী বলছে বিজ্ঞান?

Last Updated:

Artificial satellite: আসলে রকেটের (Rocket) মাধ্যমে মহাকাশে যান পাঠানো বেশ চ্যালেঞ্জিং কাজ। আর তা ব্যয়বহুলও বটে। আর এর উপরেই নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: মহাকাশে অভিযানে যাওয়ার স্বপ্ন বোধহয় প্রতিটা মানুষই মনের ভিতর লালন করে। শুধু তা-ই নয়, মহাকাশ (Space) বা মহাশূন্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ কম-বেশি সকলের মধ্যেই থাকে। কিন্তু আজ মহাকাশ অভিযানের বিষয়টা যেন সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে। মহাকাশযান (Spaceships) এবং কৃত্রিম উপগ্রহের (Satellite) কারণেই এখন এটা সম্ভব হচ্ছে। তবে বিষয়টা আপাতদৃষ্টিতে বেশ সহজ মনে হলেও আদতে কিন্তু তা নয়। আসলে রকেটের (Rocket) মাধ্যমে মহাকাশে যান পাঠানো বেশ চ্যালেঞ্জিং কাজ। আর তা ব্যয়বহুলও বটে। আর এর উপরেই নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে পাঠানো হয় মহাকাশে? কী বলছে বিজ্ঞান?
কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে পাঠানো হয় মহাকাশে? কী বলছে বিজ্ঞান?
advertisement

তবে মহাকাশযান কীভাবে চলাচল করে, তা সবার আগে বুঝতে হবে। মহাকাশযান চলাচল শুরু হয় কারমান লাইন থেকে। যা পৃথিবীর পৃষ্ঠতল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যেতে পারে।

প্রযুক্তিগত ভাবে দেখতে গেলে, বায়ুমণ্ডলের প্রভাব অনুসারে মহাকাশ শুরু হচ্ছে পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায়। আর মনে করা হয়, এখানে পৃথিবীর প্রভাব কোনও রকম ভাবে থাকে না। কিন্তু কৃত্রিম উপগ্রহগুলি এই সীমার অনেক নিচ পর্যন্ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।

advertisement

আরও পড়ুন-হাঙর কামড়ে ধরেছিল পা, রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে প্রাণে বাঁচল সাহসী বালক!

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, উড়োজাহাজকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া যাবে কি না। আসলে এই প্রশ্নের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এর উত্তর। আমরা সকলেই জানি যে, যত উপরের দিকে উঠতে থাকব, বায়ু এবং অক্সিজেনও কমতে থাকে। আর উড়োজাহাজ ওড়ার জন্য হাওয়া এবং অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস নেওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠবে। আর উড়োজাহাজের ইঞ্জিন সামনের অংশের বাতাস টেনে নেয় এবং এভাবেই জ্বালানি পোড়ে। এর ফলে হাওয়া গরম হয়ে ওঠে এবং তা দ্রুত পিছনের দিকে চলে যায়। আর এর ফলে উড়োজাহাজ এগিয়ে চলে। বোঝাই যাচ্ছে, উচ্চতা বেশি হয়ে গেলে উড়োজাহাজ পর্যাপ্ত বাতাস এবং অক্সিজেন পাবে না। আর সেই কারণেই মহাকাশে বিমান চালানো যায় না। এখানেই শেষ নয়, বিমানে চড়ে মানুষের পক্ষে মহাকাশে যাওয়ায় সম্ভব নয়। কারণ ওই অংশে মিলবে না অক্সিজেন। তাই মহাকাশে পৌঁছনোর জন্য প্রয়োজন বিশেষ যানের।

advertisement

আরও পড়ুন-দাবদাহের বৈশাখে বানিয়ে ফেলুন আমের মোরব্বা; জিভের তৃপ্তি হবে, গরমে সুস্থ থাকবে শরীরও

আর এক্ষেত্রে মুশকিল আসান করেছে রকেট। বিমান চলাচলের জন্য যেমন বায়ু অথবা অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, রকেটের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। কারণ রকেটের মধ্যেই অক্সিজেন বা বায়ু সরবরাহের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। আর এটা রকেটের সঙ্গেই যেতে পারে। এর ফলে রকেটে যাত্রী যাওয়ার জায়গা কমে যায়। তবে রকেট বায়ুমণ্ডলহীন অংশেও দিব্যি কাজ করতে পারে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

উৎক্ষেপণের সময় রকেটের ইঞ্জিন থেকে গ্যাস অতিদ্রুত নিচের দিকে বেরোতে শুরু করে। আর তা রকেটকে উপরের দিকে ঠেলে দেয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে নিউটনের তৃতীয় সূত্র কাজ করে। মহাকাশে রকেট পাঠানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়। সেই কারণে এর ইঞ্জিনে পরিশীলিত জ্বালানির প্রয়োজন হয়। মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে ওজনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ছাড়া রকেটকে বায়ুমণ্ডলের ঘর্ষণেরও মোকাবিলা করে এগোতে হয়। তাই এর বাইরের অংশ বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়। তাই আজকাল সব দিক মাথায় রেখে রকেটের মাধ্যমেই মহাকাশযান অথবা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়। উৎক্ষেপণের পরে রকেটের বিভিন্ন অংশ আলাদা হয়ে যায় এবং রকেট অথবা মহাকাশযানের ওজন কমে যায়। ফলে উপরের দিকে উঠতেও এর অসুবিধা হয় না। এই কারণে বিজ্ঞানীরা কীভাবে কম শক্তি ব্যবহার করে রকেটকে সচল করা যায়, সেই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন এবং একে আরও উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Satellite: কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে পাঠানো হয় মহাকাশে? কী বলছে বিজ্ঞান?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল