চিকেন থেকে বেকড ফিশ, স্প্রিং ল্যাম্ব থেকে মটন এবং রোস্ট টার্কি থেকে পুডিং পর্যন্ত, টাইটানিক তার যাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত খাবারের আয়েজন করেছিল। ডেজার্টের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের মধ্যে পুডিং ছিল হট ফেভারিট। Taste Atlas পোস্টিটিতে জানিয়েছে যে তিনটি শ্রেণির মেনুর মধ্যে একটি দৃশ্যমান পার্থক্য দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাথায় হাত প্রেমিকার! বয়ফ্রেন্ড এ কী গিফট দিয়েছেন, লজ্জায়-রাগে যা করলেন তিনি
advertisement
প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য মেনু ছিল এলাহি। ব্রিল, কর্নড বিফ, সবজি, ডাম্পলিংস, গ্রিলড মটন, কাস্টার্ড পুডিং, চিংড়ি, নরওয়েজিয়ান অ্যাঙ্কোভিস এবং বিভিন্ন ধরণের চিজের আইটেম পরিবেশন করা হয়েছিল। অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির প্রাতঃরাশ এবং রাতের খাবার ছিল সীমিত। সেখানে শুধুমাত্র ওটমিল পোরিজ এবং দুধ, স্মোকড হেরিংস, জ্যাকেট আলু, হ্যাম এবং ডিম, ব্রেড ও মাখন, মার্মালেড এবং সুইডিশ রুটি ছিল।
যে শ্রেণিরই খাবারই হোক না কেন, টাইটানিকের খাবারের মান ছিল উচ্চ পর্যায়ের । Taste Atlas পোস্টে লিখেছে ‘ ১৫ এপ্রিল, ১৯১২ তারিখে টাইটানিক তার প্রথম সমুদ্রযাত্রার সময় উত্তর আটলান্টিকে ডুবে যাওয়ার ১১১ বছর পূর্ণ হয়। টাইটানিক ছিল সবচেয়ে বিলাসবহুল জাহাজ এবং জাহাজে যাত্রীদের মুগ্ধ করতে খাবার ব্যবস্থার একটা বড় ভূমিকা ছিল।"
আরও পড়ুনঃ নামের আদ্যক্ষরেই লুকিয়ে থাকে ব্যক্তিত্ব ও সাফল্যের গোপন দিক! ‘S’ দিয়ে নাম শুরু হলে কেমন হবে জীবন?
পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কেউ কেউ জাহাজের ডাইনিং রুমের জাঁকজমক দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কেউ আবার বিভিন্ন শ্রেণির খাবারের পার্থক্যের বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
আরএমএস টাইটানিক ছিল একটি ব্রিটিশ যাত্রীবাহি জাহাজ যা সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম সমুদ্রযাত্রার সময় ১২ এপ্রিল, ১৯১২ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এই বিপর্যয়ের ফলে ১৫০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল, যা আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক সামুদ্রিক বিপর্যয়গুলির মধ্যে একটি।