এই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিও-য় দেখা যাচ্ছে যে, সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বিয়ের মণ্ডপ বা ছাদনাতলা। সব কিছু নিয়ম মেনেই চলছিল। প্রথম দিকের কিছু রীতি-আচার পালনের পরে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সাতপাক ঘুরতে শুরু করেন বর-বধূ। বর হাঁটছিলেন সামনে। আর তাঁর পিছনে তাঁকে অনুসরণ করে হাঁটছিলেন কনে। দু’জনের গাঁটছড়া বাঁধা হয়। কিন্তু কনেকে দেখামাত্রই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। আসলে কনের উচ্চতা বরের অর্ধেক। তা-ই দেখে প্রথমে মনে করা হয়েছিল যে, কোনও বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করছেন বর। কিন্তু কনের মুখ এবং চলাফেরার ধরন দেখে আন্দাজ করা হচ্ছে যে, তাঁর ভালই বয়স রয়েছে। শুধু তাঁর উচ্চতাই কম। লাল লেহেঙ্গায় খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিল মেয়েটিকে। তবে বরের তুলনায় খুবই ছোটখাটো দেখাচ্ছিল তাঁকে। ফলে বরের সঙ্গে একেবারেই মানায়নি তাঁকে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় হু-হু করে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিওটি। পূজা গোস্বামী নামে এক মহিলা সেটি শেয়ার করেছেন। ভিডিওটিতে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ভিউ পার করেছে।
advertisement
প্রায় ২ লক্ষ ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ পছন্দ করেছেন ভিডিওটি। শুধু তা-ই নয়, ১ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ তা শেয়ারও করেছেন। শুধু তা-ই নয়, ভিডিওটিতে এসেছে ৪২০০-রও বেশি ভিউ। ভিডিও-র তলায় কমেন্ট করে এক ব্যক্তি তো বরের সাহস এবং সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন যে, “ঈশ্বর আপনাদের সদা সুখী করুন।” আবার আমনদীপ নামে এক মহিলা ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, “যিনি ঈশ্বরের আশীর্বাদধন্য, তিনি কারওর মধ্যে কোনও খুঁত দেখতেই পান না।” আবার অঞ্জলি আলিশা নামে এক নেটিজেন বলেন যে, “যাঁদের কম উচ্চতা হয়, তাঁরাই শুধু এর কষ্ট বুঝতে পারেন। আমিও বেঁটে। সেই কারণে কষ্টটা আমি বুঝি।” অমিত কুমার আরও লিখেছেন যে, “সম্পর্কের বন্ধন এমন হওয়া উচিত, যা কখনওই ভাঙা যায় না। উচ্চতা কিংবা চেহারা কোনও ব্যাপারই নয়।” নীতিশ কুমার আবার লিখেছেন, “ভাই, আপনি কারও জীবন সুন্দর করেছেন। আপনাকে কুর্নিশ। যদিও সকলে ভেবেছিলেন যে, ওই মহিলা একটা বাচ্চা।” পূজা চৌধরি আবার মন্তব্য করে প্রশ্ন করেন যে, “বাল্য বিবাহের অস্তিত্ব কি আজকের দিনেও রয়েছে?”