জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক সদস্য। আমরা গত বছর আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল উপস্থাপন করেছি, ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আমরা সত্যি আন্তরিক। তবে আইনের শাসনে চলা দেশ হিসাবে, এই বিষয়েও জোর দিতে হবে যাতে এই মামলার সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ভারত কানাডাকে সাহায্য করে।’
advertisement
ট্রুডো আরও জানিয়েছে যে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আশ্বাস পেয়েছেন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে প্রকাশ্যে করা অভিযোগ উত্থাপন করবেন।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে আমেরিকা আমাদের সমর্থন দিয়েছে। ভারত সরকারের এজেন্টরা কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যা করেছে এমন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা অপরিহার্য।’ ট্রুডো দাবি করেন, ‘সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ, যারা আইনের শাসনকে সম্মান করে, তাদের এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আমরা ভারত সরকারের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রেখে আইনের শাসনের সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করে চিন্তাশীল, দায়িত্বশীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার হাউস অফ কমনসে বলেছিলেন, কানাডার নিরাপত্তা সংস্থা জানতে পেরেছে, নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারতীয় সরকারি এজেন্টের যোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি জি ২০ সম্মেলনের সময় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই বিষয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও কানাডার গভীর উদ্বেগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
ট্রুডো তখনই ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন এই বিষয়টি নিয়ে কানাডাকে সহযোগিতা করার জন্য। তবে ভারত এসব অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘প্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।