এমনিতেই সুপারমুনের উজ্জ্বলতা সাধারণ পূর্ণিমার চেয়ে বেশি হয়। এই রাতে চাঁদের আকার কিছুটা বড় দেখাবে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞান সম্প্রচারকারী সারিকা ঝারু জানান, এদিন পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৮১ কিলোমিটার দূরে থাকা চাঁদের অবস্থান অনেকটা কাছে আসবে। এই কারণে, এটি মাইক্রোমুনের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বড় দেখাবে চাঁদকে। আর তার উজ্জ্বলতাও বাড়বে প্রায় ৩০ শতাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: পৃথিবীর ‘এই’ দেশে কোনও চোর নেই! কোনও জিনিস হারালেও খুঁজে পেয়ে যায় লোকজন
সারিকা বলেন, দু’টি পূর্ণিমার মধ্যে ২৯.৫ দিনের ব্যবধান থাকে। সেক্ষেত্রে প্রথম পূর্ণিমা যদি কোনও মাসের ১ বা ২ তারিখে পড়ে, তাহলে দ্বিতীয় পূর্ণিমাও ওই একই মাসে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যখন একই ইংরেজি ক্যালেন্ডার মাসে দু’টি পূর্ণিমা পড়ে, তখন দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে ‘ব্লু-মুন’ বলা হয়। ২০২৩ সালের ১ অগাস্ট পূর্ণিমা ছিল। তাই ৩০ অগাস্টের দ্বিতীয় পূর্ণিমাটি ব্লু-মুন হবে।
ব্লু-মুনের আবার অন্য একটি ব্যাখ্যাও হয়। তাকে ‘সিজনাল ব্লু-মুন’ বলা হয়। জ্যোতির্বিদ্যায় তিন মাসের মধ্যে যদি চারটি পূর্ণিমা পড়ে, তবে তৃতীয় পূর্ণিমার সিজনাল ব্লু-মুন বলা হয়। এটি একটু বেশি বিরল ঘটনা।
গবেষণা থেকে জানা যায়, গত প্রায় ১১০০ বছরে ৪০৮টি ‘সিজনাল ব্লু-মুন’ এবং ৪৫৬ টি ‘মান্থলি ব্লু-মুন’-এর ঘটনা ঘটছে। ২০২৪ সালেও ব্লু-মুন দেখা যাবে। আগামী বছর ১৯ অগাস্ট হবে ‘সিজনাল ব্লু-মুন’।
তবে আজ রাতে যে বিরাটাকার চাঁদ দেখা যাবে তার রঙ কোনও ভাবেই নীল হবে না। বরং পূর্ণিমার চাঁদের মতোই অতিউজ্জ্বল সাদা রঙ হবে। আসলে ব্লু-মুন শব্দবন্ধের মধ্যে থাকা ‘ব্লু’ কথাটি যে কোনও দুর্লভ বস্তু বা ঘটনা বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়।