এবার এমন পাকাপাকি বন্দোবস্তের রাখি যদি কিনতেই হয়, সকলেই চাইবেন তা নজরকাড়া হোক। না হলে আর সোনা-রুপোর পিছনে শুধু শুধু পয়সা খরচ করা কেন! এবার তার জায়গায় যদি বলা হয় এমন এক রাখির কথা, যা সোনা দিয়ে তৈরি, অথচ লেন্স ছাড়া দেখাই যাবে না, এতটাই ছোট আর আয়তন, তাহলে কি কেউ সেই রাখি কিনতে আগ্রহী হবেন? রাখির বাজারে এই সন্দেহ উঠলেও ইকবাল সক্কা কেন এমন রাখি বানাতে গেলেন?
advertisement
কারণ খুবই অভিনব। সে কথায় আসার আগে সক্কা এবং তাঁর রাখি নিয়ে কিছু শব্দ খরচ করতেই হয়। সক্কা থাকেন রাজস্থানের উদয়পুরে। দেশের সেরা যে সব স্বর্ণকার রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম, নিজ গুণে প্রসিদ্ধও বটে। ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম গড়েছিলেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম সোনার চেন, তা জায়গা করে নিয়েছিল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
আরও পড়ুন: দুই বাচ্চা কোলে হাউ হাউ কান্না দেবিনার! ঘুরতে গিয়ে কী হল বাঙালি নায়িকার
এর পর তিনি থেমে থাকেননি, একের পর এক অভিনব জিনিস গড়েছেন এবং পর্যায়ক্রমে পূর্ণ করেছেন ১০০ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার বাসনা। এবার যে রাখিটি তিনি তৈরি করেছেন, তা সোনার হলেও খুবই হালকা, ওজন মাত্র .০০, হাওয়ার চেয়েও তা হালকা, দেখতে হবে লেন্স দিয়ে। সক্কা নিজেও লেন্সে চোখ রেখেই এই রাখি গড়েছেন ২ দিনের শ্রমে।
মজার ব্যাপার, বিশ্বের বৃহত্তম রাখির রেকর্ড রয়েছে ইন্দোরের পলরেচি ব্রাদার্সের কাছে। তাঁদের তৈরি অষ্টধাতুর সুবৃহৎ নয়নমনোহর রাখি বাঁধা আছে খজরানা গণেশ মন্দিরের বিগ্রহের হাতে। এই রাখি জায়গা করে নিয়েছিল গোল্ড রেকর্ডে। তাকেই টক্কর দিয়ে এবার সক্কা বানিয়ে ফেলেছেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাখি। তাঁর ইচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম রাখি যেমন স্থান পেয়েছে খজরানার শ্রীগণেশের হাতে, তেমনই স্থান পাক এই বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাখিও। রাজস্থানের পক্ষ থেকে তিনি এই উপহার অর্পণ করতে চান মন্দিরে, চান দেশ যেন ভগবানের আশীর্বাদে সুসমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।