ঢ্যাং কুরা কুর...... কোথা থেকে যেন ভেসে আসছে ঢাকের আওয়াজ......চৈত্র শেষের সোনালি আলো সবে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে...আসছে বৈশাখ।
কথায় বলে, চোতের ঢাকে কাঠি পড়েছে... গাজনের বাজনা বেজে উঠেছে। চড়ক-গাজনে জমজমাট পূর্ব মেদিনীপুর ।
শিবের গাজন লেগেছে। কাঁথি থেকে কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, মহিষাদল, নন্দকুমার, গোপালপুর, সুন্দরা গ্রামে কান পাতলেই এখন প্রাচীনতম উৎসবের সুর। বছরের শেষ তিনদিন গ্রামে গ্রামে গাজনের নানা ছবি । কাঁটা ভরতি খেজুড় গাছের উঁচু ডগায় উঠে গাছ মোড়ানো দিয়ে শুরু, ধারালো বঁটির উপর বুক পেতে উপর থেকে ঝাঁপ দেওয়া থেকে চড়কে ঘোরা । এ ছাড়াও বান ফোঁড়া, বড়শি ফোঁড়া, গনগনে আগুনের উপর হেঁটে যাওয়া...বাতাসার লুঠ তো রয়েছেই ৷
advertisement
সুন্দরা গ্রামের গাজন মেলার বয়স দু’শো বছর। ১৮৩২ সালে মহিষাদলের রাজা লক্ষ্মণ প্রসাদ গর্গা বাহাদুর তৈরি করেন মন্দির। সেখানেই জমাটি গাজন উৎসবের আয়োজন। উৎসবে সামিল আশপাশের গ্রামের হাজার খানেক মানুষ ।
সময় এগিয়েছ অনেকটা....সময়ের স্রোতে আধুনিক আজ সমাজও.....চৈত্র সংক্রান্তি পুরনোকে ছুঁড়ে ফেলে না ...বিদায় জানায়, বুকে লালন করে।। তাই তো আজও গ্রাম বাংলায় চড়ক আছে চড়কেই।