এসপি অমৃতেন্দু শেখর ঠাকুর জানিয়েছেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে রেলওয়ে স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কয়েকজন যুবক দাঁড়িয়েছিল। আগে থেকেই খবর ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে ৬ যুবক।
ধৃতরা মোবাইল-ল্যাপটপ চুরি, চেন ছিনতাই, অ্যাটাচি লিফটিং এবং অবৈধ মদ পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তল্লাশিতে তাদের কাছ থেকে ২৬টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
advertisement
বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের সঙ্গে যোগ: রেল এসপি জানিয়েছেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন বিহারের, ৩ জন ঝাড়খণ্ডের এবং ১ জন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। এরা বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশন থেকে টাকা, মোবাইল এবং ব্যাগ ছিনতাই করত।
এসপি অমৃতেন্দু শেখর ঠাকুর জানিয়েছেন, ধৃতরা আন্তঃরাজ্য গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। মোবাইল, ল্যাপটপ চুরি করে স্থানীয় বাজার এবং অন্যান্য জায়গায় বিক্রি করত। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো গ্যাংয়ের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
একাধিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, সব তথ্য এক জায়গায় করছে পুলিশ: রেল এসপি জানিয়েছেন, ধৃতদের একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর কোনও অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত কি না, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে ধৃতদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছে পুলিশ। সেসব ঝাড়াই-বাছাই চলছে। তারপর সেই সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ একজায়গায় নিয়ে সামগ্রিক ছবিটা বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তাহলেই পুরো রহস্যের পর্দাফাঁস হবে।
এই ঘটনার পাশাপাশি রেল এসপি জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ এডিজি-এর বডিগার্ডের কারবাইন ও ২০টি কার্তুজ চুরির ঘটনায় বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রসঙ্গত, পাটনা জংশন স্টেশনে এই চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
জানা গিয়েছে, পটনা-বক্সার ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন ওই বডিগার্ড। কারবাইন এবং কার্তুজ তাঁর ব্যাগে ছিল। ব্যাগ সিটের পাশে ঝুলিয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন। সেই সময়ই চুরি হয়ে যায়। ব্যাগ নিতে গিয়ে দেখেন, ভোঁ ভাঁ। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু ব্যাগের হদিশ মেলেনি।