আরও পড়ুন– পুণের বাসে ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার অভিযুক্ত ! ৭২ ঘণ্টার পর অবশেষে পুলিশের জালে যুবক
টিটিই সুনীল কুমার বলেন যে, অভিযুক্ত ভুয়ো টিটিই-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে নিজের নাম জানিয়েছে সঙ্কল্প স্বামী ওরফে মৃত্যুঞ্জয়। ওই এক নামে একটি আইডি কার্ডও দেখিয়েছিল সে। সন্দেহের নিরসন না হওয়ায় তাঁকে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আরপিএফ-এর সামনে তাঁদের জেরা করা হতে থাকে।
advertisement
সামনে আরপিএফ-কে দেখতে ভেঙে পড়ে ভুয়ো টিটিই। সেই সময় সে সত্যিটা তুলে ধরে। জেরার মুখে সে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সে বিহারের খাগাড়িয়ার বাসিন্দা। সে আসলে এমবিএ গ্র্যাজুয়েট। অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় আরপিএফ-এর কাছে বলে যে, আমি সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে পটনা জংশনে গিয়েছিলাম। ট্রেনে এটাই আমার প্রথম দিন ছিল।
আরও পড়ুন– প্রতিদিন বিমানবন্দরে কী কাজ? যুবকের চালাকিতে হতবাক পুলিশ, এভাবেও বড়লোক হওয়া যায়!
এটাও সন্দেহ করা হচ্ছে যে, অভিযুক্ত টিটিই কুম্ভ চলাকালীন যাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিল। ভুয়ো টিটিই-র কাছ থেকে একটি আইডি কার্ড, পোশাক, রসিদ এবং অন্যান্য নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর উদ্ধার হওয়া ওই আইডি কার্ডে নামের জায়গায় লেখা ছিল সঙ্কল্প স্বামী। চাকরির লোকেশন হিসেবে লেখা রয়েছে দানাপুর ডিভিশন। এরপরেই আরপিএফ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে অভিযুক্ত ওই টিটিই-কে।
আরপিএফ-এর বক্তব্য, মহাকুম্ভ পর্ব চলার সময় একাধিক ট্রেনে টিকিট পরীক্ষা করার নামে যাত্রীদের কাছ থেকে জরিমানা স্বরূপ প্রচুর পরিমাণ টাকা হাতিয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়। এদিকে এর পাশাপাশি এটা নিয়ে তদন্ত শুরু করবেন তদন্তকারীরা।