আজদার হুসেন নামে এই সাংবাদিক গলা-গভীর জলে অস্বস্তি বোধ করছেন এবং ভিডিওতে তিনি এই সত্যটি সম্পর্কে বলছেন যে সিন্ধু নদীতে জলের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পাঞ্জাব অঞ্চলের কৃষিজমি জলের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
advertisement
সম্প্রতি এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যম তাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি শেয়ার করেছে এবং শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘বন্যার জলে পাকিস্তানি রিপোর্টার! তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।’
এখন প্রশ্ন, তবুও কেন? আমরা জানি যে পাকিস্তানের বেশ কিছু জায়গা জায়গা জলের তলায়। ভারতে এমন জায়গা রয়েছে, যেমন বিহার, আসাম - যেখানে লোকেরা গলা-সমান জলের সঙ্গে লড়াই করছে এবং আমরা তাঁদের দুর্দশা দেখতে পাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জেলে ঢোকাল পুলিশই! এমন ঘটনা এদেশে আগে হয়নি!
এই লোকটি কীভাবে নিজেকে জলে ডুবিয়ে পাঞ্জাবের পরিস্থিতিকে সাহায্য করেছিল, আমাদের কোনও ধারণা নেই। এটি শুধু নিরর্থকই নয়, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনকও বটে। মাত্র কয়েকদিন আগে আমরা বিহারের একটি ছেলের সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম যে বন্যার প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছিল এবং জলে ঝাঁপ দিয়ে ভিডিও করতে গিয়ে মারা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বর্ষায় জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? সঙ্গে এই পানীয় থাকলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
এমন নয় যে এই প্রতিবেদকের সৎ সাংবাদিকতার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তবে আপনি যদি লক্ষ্য করেন ভিডিওতে তাঁরা যে চাষজমির ফুটেজ দেখায় তাঁতে এতটা প্লাবিত হয়েছে বলে মনে হয় না। ওয়াইড শট থেকে মনে হয় চারপাশে শুধু জল, সম্পত্তি নেই, কিছুই নেই... এছাড়াও লক্ষ্য করলে দেখআ যায় যে তাঁর মাইকটি শুকনো এবং তাঁর হাতও... তাই কি এটা সম্ভব যে নদীর জলে যেখানে সে দাঁড়িয়ে আছে ততটা গভীর নয়, হতে পারে সে কেবল হাঁটু-গভীর বা কোমর-গভীর জলে বসে আছে? যদিও এটা শুধুমাত্র ভাবনাই...