এটা আসলে দৃষ্টিবিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশনেরই একটি ধাঁধা। অবসরে খেলার ছলে এই ধাঁধার সমাধান করার মজাই আলাদা। সময়ও ভাল কাটে, আবার মস্তিষ্কেও শান দেওয়া হয়ে যায়। আসলে একটা বিষয়কে আমরা যে-ভাবে দেখছি, আমাদের মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতাকেই চ্যালেঞ্জ করে এই দৃষ্টিবিভ্রমের ধাঁধা। এর মাধ্যমে নিজের আইকিউ-ও পরীক্ষা করে নেওয়া সম্ভব। আর অপটিক্যাল ইলিউশন বিভিন্ন ধরনের হয়। যথা - ফিজিক্যাল, সাইকোলজিক্যাল এবং কগনিটিভ। এখানেই শেষ নয়, এই অপটিক্যাল ইলিউশন আসলে কিন্তু সাইকোঅ্যানালিসিসেরই একটা অংশ। যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর আলোকপাত করে থাকে। এমনই এক দুর্দান্ত ইলাস্ট্রেশন সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, ছবিটির সেই দৃশ্যে কী কী রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- কাফে-তে হারিয়েছে ছাতা, ৫ সেকেন্ডে খুঁজে দিতে পারলে বোঝা যাবে বুদ্ধির ধার কতখানি
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শ্বেত-শুভ্র বরফে ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। পাতা ঝরা গাছ ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাছের ডালে জমেছে বরফও। দূরে দেখা যাচ্ছে বাড়িঘরও। আর গাছের সারির মাঝেই খেলায় মেতেছে খুদের দল। তুষারপাতের মাঝেই স্নোম্যান তৈরি করেছে দুই বালিকা। আর আর এক কিশোর বরফের উপর দিয়ে একটি স্লেজ গাড়ি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আর এই সবের মাঝেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে একটি হরিণ। মাত্র ৯ সেকেন্ডের মধ্যে কি এই হরিণটিকে খুঁজে বার করা যাবে?
বিষয়টা আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও আদতে তা কিন্তু একেবারেই নয়। বহু মানুষেরই হরিণটিকে খুঁজে বার করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে গিয়েছে। খুঁজে কি পাওয়া গেল হরিণটাকে? যদি না-পাওয়া যায়, তাতেও সমস্যা নেই। আমরাই বলে দিই, কোথায় লুকিয়ে রয়েছে সে। ছবিটির একেবারে বাম দিকে তাকাতে হবে। পিছনের দিকের দুটো গাছের মাঝেই যেন গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে হরিণটি। আসলে গাছের রঙ এবং ডালপালার সঙ্গেই ক্যামোফ্লেজ করে গিয়েছে হরিণটির গায়ের রঙ এবং শিঙ।