ছবির ধাঁধা বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল এমন এক ধরনের ছবি, যার মধ্যে আর এক ছবি লুকিয়ে আছে। মনে রাখা দরকার, এই অপটিক্যাল ইলিউশনকে মনোবিশ্লেষণের একটি অংশ হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মানুষের মনের মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে থাকে যা এই সব ধাঁধা সমাধান করার সময় প্রকাশ পায়। এক যুক্তিবাদী মানব মস্তিষ্ক বিভিন্ন কোণ থেকে এই ছবিগুলিকে দেখে ভিন্ন ভিন্ন উপলব্ধি তৈরি করতে পারে।
advertisement
বুদ্ধির পরীক্ষার জন্য ছবির ধাঁধা: বনের ভিতর এক লুকানো ঘুমন্ত বিড়ালকে খুঁজে বের করতে হবে
উপরের ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট রেডিট-এ হালে খুব শেয়ার করা হয়েছে আর বলা হচ্ছে জঙ্গলের ভিতরে ঘুমন্ত একটি লুকানো বিড়ালকে খুঁজে বের করতে। এই অপটিক্যাল ইলিউশন এতটাই কঠিন যে, লোকে ঘুমন্ত বিড়ালকে খুঁজতে মাথার চুল ছিঁড়তে খালি বাকি রাখছে। এই অপটিক্যাল ইলিউশনের সবচেয়ে জটিল অংশ হল বিড়ালটিকে চোখের সামনে দেখা দিলেও এটিকে তাড়াতাড়ি খুঁজে পাওয়া যায় না।
তাই অনেকেই দাবি করছেন যে শুধুমাত্র ১% লোকই ১১ সেকেন্ডের মধ্যে লুকানো বিড়ালটিকে সনাক্ত করতে পারেন।
১১ সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমন্ত বিড়ালটিকে খুঁজে পাওয়া গেল কি?
তার জন্য এই ধাঁধার ছবিটাকে ভাল ভাবে দেখতে হবে এবং বনের ভিতরে লুকানো ঘুমন্ত বিড়ালটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এমনিতে ছবিটির মধ্যে বিড়ালটিকে খুঁজে পাওয়া সহজ নয়, কারণ এটি ছবির পটভূমির সঙ্গে একেবারে মিশে আছে। ছবিতে, একটি জঙ্গল এবং কাঠের স্তূপ নিশ্চয়ই দেখা গিয়েছে। কিন্তু একটি ঘুমন্ত বিড়াল দেখে গিয়েছে কি?
এবার একটা ক্লু চাই কি?
আচ্ছা। বিড়ালটিকে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন বলে মনে হলে, ছবির একেবারে উপরের দিকে কাঠের স্তূপটি ভালভাবে দেখতে হবে। বিড়ালটি কাঠের স্তূপের উপরে ঘুমাচ্ছে, সেটা এবার নিশ্চয়ই চোখে পড়েছে?
কোনও ক্লু ছাড়াই যদি মাত্র ১১ সেকেন্ডের মধ্যে বনের মধ্যে ঘুমন্ত বিড়ালটিকে সনাক্ত করা যায় তবে সেটা অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ মানতেই হবে। মনে রাখা দরকার, যত বেশি কঠিন ধাঁধা নিয়ে মস্তিষ্কের অনুশীলন করা যাবে, মস্তিষ্কের বিকাশ তত বেশি হবে, আর ততই স্মার্ট হয়ে ওঠা যাবে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ছবির ধাঁধা বা অপটিক্যাল ইলিউশন সবসময় আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। একটি সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক রঙ, আলো এবং প্যাটার্নের নির্দিষ্ট সংমিশ্রণে কীভাবে বিভিন্ন জিনিস বা বস্তু উপলব্ধি করতে পারে, সেটা সনাক্ত করতে সাহায্য করে অপটিক্যাল ইলিউশন।