সেটাই তো হল প্রশ্ন! এই অপটিক্যাল ইলিউশনে দেখা যাচ্ছে সুন্দর এক বসার ঘর, পশ্চিমি কোনও শহরের। সেখানে সুন্দর করে সাজানো আছে সেন্টার টেবিল, তাকে ঘিরে মুখোমুখি দুই সোফা, একদিকে ড্রয়ার, ফায়ার প্লেস, তার পাশে একটা তাক, সেখানে কত কী না সাজিয়ে রাখা। মেঝে জুড়ে বিছিয়ে আছে নরম হলুদ রঙের গালচে। আর এত কিছুর মধ্যে কলার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পুরোপুরি হতভম্ব এক ভদ্রলোক- পোষ্য তাহলে গেল কোথায়?
advertisement
আরও পড়ুন- ৭ সেকেন্ডের বেশি সময় দেওয়া যাবে না, পারবেন বাথরুমে থাকা মোরগটাকে খুঁজে বের করতে?
বলা হচ্ছে যে এই অপটিক্যাল ইলিউশনটা না কি বেশ বেয়াড়া ধরনের! সে দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা আর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার অধিকারীদের আত্মবিশ্বাসকেও সঙ্কটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। খুব কমই রয়েছেন যাঁরা মাত্র ১১ সেকেন্ডের মধ্যে ধরে ফেলতে পেরেছেন যে কুকুরটা কোথায় আছে। এই ব্যাপারে নিজের বাড়ির পোষ্যর স্বভাবের কথাও ভেবে দেখা যায় বই কি! শীতকালে সে কোথায় গা এলাতে পছন্দ করে? পাপোষে বা গালচের ওপরে, তাই তো? এই কুকুরটাও কিন্তু শুয়ে আছে গালচের ওপরেই।
কিন্তু ওই- এই অপটিক্যাল ইলিউশন যে তীরে এসেও তরী ডুবিয়ে দেয়। গালচের ওপরে কুকুর শুয়ে আছে, এটা বলে দেওয়া সত্ত্বেও অনেকেরই খুঁজে পেতে অসুবিধে হতেই পারে। কেন না, কুকুর আর গালচের রঙ- দুই গিয়েছে একে অপরের সঙ্গে মিশে। গালচের ডান দিকের কোণে ভাল করে নজর দিলে তবেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
সত্যিই ছবিটা বেশ অপদস্থ করার মতো, তাই না?