অনেক অপটিক্যাল ইলিউশন আছে যা মানুষের চরিত্র সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পারে। এসব ধাঁধা সমাধান করার ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মানসিক গড়ন সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়ে পড়ে, যা তাঁর ব্যক্তিত্বের আনুমানিক ধারণা দেয়।
এর বাইরে এ ধরনের দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবির বা ধাঁধার সমাধান করার মধ্যে রয়েছে দারুন আনন্দ। ৮ থেকে ৮০ কোনও মানুষই এই মজা ছাড়তে চান না।
advertisement
এখানেও রয়েছে তেমনই একটি অপটিক্যাল ইলিউশন বা দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবি। এই ছবিতে লুকিয়ে থাকা একটি সাপকে খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ। তবে এটুকুই নয়, চ্যালেঞ্জের দ্বিতীয় বিষয় হল সময়সীমা। মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে সাপটিকে খুঁজে বের করতে পারলে বুঝতে হবে বুদ্ধির জোর আছে।
এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য জিরাফ। কোনও জঙ্গলে বা বাগানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেউ উপরে, কেউ নিচে। কিন্তু এই আপাত নিরীহ প্রাণিগুলির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একটি সাপও। ১৫ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়েছে সেই লুকিয়ে থাকা সাপটিকে আলাদা করে খুঁজে নেওয়ার জন্য। অসামান্য প্রতিভাধর, বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাই শুধু এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন-আগামিকাল কাঁথিতে কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের
এই ছবিতে লুকিয়ে থাকা সাপ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হন প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ। মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ জিরাফের পালে লুকিয়ে থাকা সাপটিকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
আরও পড়ুন- গাধার পালে লুকিয়ে প্রদীপের দৈত্য! ১১ সেকেন্ডে খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ
অপটিক্যাল ইলিউশন তৈরি করা ছবি সাধরণত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে খানিকটা প্রতারণাই করে। এই ধরনের ছবিতে, চোখের সামনে থাকা জিনিসও খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার যা নেই, তা রয়েছে বলে বোধ হতে থাকে। এই কারণে, মানুষ তাদের সফল হয় না। আসলে, এই ছবিতে জিরাফ এবং সাপের গায়ের রঙ একই। সে কারণেই বেশিরভাগ মানুষ সাপটিকে আলাদা করতে পারেন না।
তবে খুব কঠিন কাজও কিন্তু নয়। সামান্য লক্ষ্য করলেই অন্য জিরাফগুলির থেকে সাপটিকে আলাদা করে ফেলা যাবে। গায়ের রঙ এক হলেও মাথার গড়ন জিরাফের থেকে আলাদা।
এখনও চিনতে না পেরে থাকলে চিন্তার কিছু নেই। নিচের ছবিতে লাল বৃত্তাকার অংশে চিনিয়ে দেওয়া গেল সাপটিকে!

