অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
advertisement
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা! ছবিটিতে কী কী দেখা যাচ্ছে, সেটাই দেখে নেওয়া যাক। এটি একটি অ্যানিমেটেড ছবি। সাজানো গোছানো একটা ঘরে বিছানায় ঘুমোচ্ছে ছোট্ট একটি মেয়ে। রঙিন থিমের এই ঘরে রয়েছে একটি পড়ার টেবিল। সেখানে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে ল্যাপটপ, খাতা-কলম আর একটা আয়না।
আরও পড়ুন: পাতার মধ্যেই লুকিয়ে পোকা! ১৫ সেকেন্ডে পারবেন কি খুঁজতে? ৯৯ শতাংশ মানুষই কিন্তু ডাহা ফেল!
চেয়ারের উপরে রাখা মেয়েটির স্কুলের ব্যাগ, হেডফোন, তোয়ালে। বিছানার পাশেই রয়েছে একটি সাইড ক্যাবিনেটও। তার উপর রাখা ফটোফ্রেম আর টেবিল ঘড়ি। মাথার উপর রয়েছে একটি বইয়ের তাক। তাতে বই আর পুতুল সাজিয়ে রাখা। এছাড়া সারা ঘর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মেয়েটির পুতুল, খেলনা। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রঙচঙে স্টিকারও সাঁটানো। কিন্তু এরই মাঝে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে একটি মৌমাছি। আর সেটাকেই মাত্র ৭ সেকেন্ডে খুঁজে বার করতে হবে। আসলে এটাই আজকের চ্যালেঞ্জ!
তবে মৌমাছিটিকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ রঙিন নানা সামগ্রীর মধ্যেই ক্যামোফ্লেজ করে রয়েছে সেই ছোট্ট প্রাণীটি। যাইহোক, কথা না বাড়িয়ে কাজে লেগে পড়া যাক। ভাল করে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করতে হবে ছবিটিকে। ঘরের আনাচ-কানাচ ভাল করে পর্যবেক্ষণ করলে আশা করি পাওয়া যাবে মৌমাছিটিকে।
বলে রাখা ভাল যে, খুব কম সংখ্যক মানুষই মৌমাছিটিকে খুঁজে বার করতে সফল হয়েছে। সময় তো ফুরিয়ে এল! না পাওয়া গেলে আমরাই বলে দেব উত্তরটা। মৌমাছিটি লুকিয়ে রয়েছে পড়ার টেবিলে রাখা আয়নাটির পিছনে নিচের দিকে।