প্রাণীটির নাম হেননেগুয়া স্যালমিনিকোলা। আবিষ্কার করেছেন তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় ও অরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এটি প্রথম অবশ্য আবিষ্কার হয় ২০২০ সালে। পরজীবীটি স্যামন মাছের কোষের ভেতর থাকে। এতে মাছের কোনও ক্ষতি হয় না। যদিও মাছের প্রক্রিয়াজাত পুষ্টি খেয়েই পরজীবীটি বেঁচে থাকে। এর কোষ সংখ্যা ১০ কোটি। অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করলে কোষের সংখ্যা অত্যন্ত কম।
advertisement
অক্সিজেন ছাড়া জীবন সম্ভব নয়। এই ধারণাকেই আমূল বদলে দিয়েছে এই পরজীবী। অক্সিজেন ছাড়াও বেঁচে থাকা সম্ভব, সেটার প্রমাণ এই প্রাণী। প্রতিটি প্রাণীর কোষকে ক্ষমতা দেয় অক্সিজেন। তবে কীভাবে এই প্রাণী অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে! বায়োলজির সমস্ত নিয়মকে এই প্রাণী একেবারে ভুল বলে প্রামাণিত করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- মালাবদলের পরই…! দুটি রসগোল্লা ফাঁস করে দিল বরের বড় ‘রহস্য’, নিমেষে সব ‘শেষ’!
এই এক কোষী প্রাণীটির অক্সিজেন গ্রহণের মতো কোনও প্রত্যঙ্গ নেই। স্যামন মাছের যে স্থানে এই পরজীবী বাস করে, সেখানেও কোনও অক্সিজেন থাকে না। পরজীবীটির কোনো জিনোম নেই। ফলে আলাদাভাবে অক্সিজেন তৈরি করতে হচ্ছে না। তবে অক্সিজেনের পরিবর্তে প্রাণীগুলো কিসের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে, তা এখনো জানেন না বিজ্ঞানীরা। আরও গবেষণা প্রয়োজন।
এই প্যারাসাইট অনেকটা জেলিফিসের মতো দেখতে। তবে এটি জেলিফিসের প্রজাতির নয়। বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন দরকার নেই। এই তথ্য সামনে আসার পর বিজ্ঞানীরা কার্যত আকাশ থেকে পড়েছেন। তাহলে কীভাবে এরা জীবনীশক্তি পাচ্ছে! গবেষকরা জানিয়েছেন এদের দেহে এক ধরণের মাইটোকনড্রিয়া রয়েছে। এই মাইটোকনড্রিয়া এদের দেহকে শক্তি প্রদান করছে। প্রতিটি জীবের দেহে মাইটোকনড্রিয়া থাকে। তবে সেগুলি অক্সিজেন দ্বারা চালিত।
এই প্যারাসাইটের দেহে যে মাইটোকনড্রিয়া রয়েছে সেগুলি অক্সিজেন ছাড়াই শক্তি প্রদান করছে। ফলে বাইরে থেকে আর অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে না।