বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যা একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। নাসার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'আমরা সূর্যের মাটি ছুঁয়ে ফেলেছি। ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য সূর্যের করোনায় প্রবেশ করেছে নাসার মহাকাশযান। সূর্যের যে পয়েন্টে এটি প্রবেশ করেছে, সেখানে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ও মাধ্যাকর্ষণ অনেকটাই বেশি, সে কারণে সে অঞ্চল থেকে সৌর ধাতু ছিটকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা কম।' ২০১৮ সালে পার্কার সৌর তদন্তকারী যান পৃথিবীর মাটি ছেড়ে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। সাফল্য এল প্রায় ৪ বছরের মাথায়।
আরও পড়ুন: রাতের আকাশে উল্কাবৃষ্টি! কখন-কীভাবে দেখবেন অপূর্ব এই মহাজাগতিক দৃশ্য?
এই মহাকাশযানের সূর্যে পৌঁছে যাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ, পরের কয়েকটি লাইনে সে কথা বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা মনে করছেন, এক বার চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে সে উপগ্রহের সৃষ্টি কী ভাবে হয়েছিল। সূর্যের মাটিতে সৌরযান পৌঁছে যাওয়ার পর বোঝা যাবে অনেক অজানা তথ্য। আমাদের সৌরজগতের একমাত্র ও নিকটতম নক্ষত্র সূর্য, তাঁর কী অন্য কোনও সৌর জগতের উপর প্রভাব আছে? এ সব তথ্য এই অভিযানের ফলে আরও স্পষ্ট করে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই অভিযানের খবর দিয়ে নাসা ২০১২ সালে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, সেই পোস্টে কম বেশি ৯ লক্ষ মানুষ নানারকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সূর্যে পাড়ি দেওয়া যানের কুড়িয়ে পাওয়া তথ্যের জন্য এই বিপুল সংখ্যক বসে আছেন সাগ্রহে।