আরও পড়ুন- C-130J হারকিউলিস বিমানের ফিচার শুনলে হুঁশ উড়ে যাবে! এতে চেপেই ভারতে এসেছেন হাসিনা
বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা ওই তরুণের নাম চন্দ্রমণি মিশ্র। বাড়ি থেকে পালিয়ে সটান কৈঁচি ধামে পৌঁছন তিনি। তবে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি যেন মানসিক চাপে রয়েছেন। সূত্রের খবর, মাত্র ৯৫ টাকা হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন চন্দ্রমণি মিশ্র। ট্রেনে চেপে কাঠগোদাম পৌঁছন। এরপর একটি গাড়িতে চেপে কৈঁচি ধামে গিয়েছিলেন তিনি। পিআরডি জওয়ানদের কাছে চন্দ্রমণি জানান যে, সম্প্রতি দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেছেন তিনি। প্রায় ৬ দিন ধরেই কিছুই খাওয়া হয়নি তাঁর। বাড়ি ছেড়ে সোজা কৈঁচি ধামে পৌঁছেছেন। এরপরেই কৈঁচি ধামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিআরডি জওয়ান আনন্দ বল্লভ বধানি ওই তরুণকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। এমনকী, চন্দ্রমণির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করেন। কিন্তু বারবার বোঝানো সত্ত্বেও বাড়ি ফিরে যেতে নারাজ চন্দ্রমণি। তাঁর পরিবারের কৈঁচি ধামে পৌঁছনোর কথা।
advertisement
আনন্দ বল্লভ বধানি জানতে পেরেছিলেন ওই তরুণ দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছেন। মন্দিরের ফটকেই বসেছিলেন চন্দ্রমণি। এটা জানামাত্রই তিনি ওই তরুণের কাছে ছুটে যান। চন্দ্রমণিকে বারবার প্রশ্ন করা সত্ত্বেও মুখ খুলতে চাননি তিনি। এরপরেই ওই তরুণকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই পিআরডি জওয়ান। তাতেই জানা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে কৈঁচি ধামে এসেছেন চন্দ্রমণি। এরপরেই আনন্দ বধানি ওই তরুণকে খাবার খাওয়ান। এমনকী তাঁর বাবার ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগও করেন। এরপর চন্দ্রমণিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান আনন্দ বধানি। পরে অবশ্য পরিবারের সদস্যদের হাতে চন্দ্রমণিকে তুলে দিয়েছেন তিনি।