জ্যোতি আজ পা রাখলেন ২৭ বছরে। ২৭ বছরে হয় তো এই দুনিয়ার অনেক খারাপ কিছুই তাঁকে দেখতে হয়েছে, শুনতেও হয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশিই তাঁর প্রাপ্তির ভাড়ারটি বেশ সুন্দর ভাবে পূর্ণ। শারীরিক দিক থেকে অভাব রাখলেও বিধাতা তাঁর সৌভাগ্যের খাতে সেই অভাব পুষিয়ে দিয়েছেন বলাই যায়। শারীরিক উচ্চতার জন্য জ্যোতি তকমা পেয়েছেন বিশ্বের ক্ষুদ্রকায়া নারীর, যা তাঁকে দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guinness World Record)।
advertisement
কিন্তু এ ছাড়াও তাঁর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। ২৭ বছরের যাত্রাপথে সেই স্বীকৃতির তালিকায় চোখ রাখার আগে একটু জ্যোতির শারীরিক সমস্যার দিকটা না জানলেই নয়।
জ্যোতির মা রঞ্জনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে মেয়ের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন এই শারীরিক ত্রুটির দিকটা তাঁদের চোখে ধরা পড়ে। পাঁচ বছরের শিশুর তুলনায় জ্যোতির বৃদ্ধি ছিল উল্লেখযোগ্য রকমের কম। এর পর তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায় যে তিনি অ্যাকনড্রপলাসিয়া (Achondroplasia) নামের এক বিশেষ বামনত্ব (Dwarfism) রোগের শিকার। এই রোগে আক্রান্তদের উচ্চতা একটা নির্দিষ্ট সীমার পরে আর বাড়ে না। জ্যোতি তাই ২ ফুটেই সীমাবদ্ধ রইলেন, মায়ের দেওয়া এই তথ্যকে সমর্থন করেছে গিনেস বুকও।
পাশাপাশি গিনেস বুক মারফত আরও জানা গিয়েছে যে জন্মের সময়ে জ্যোতির শারীরিক ওজন যা ছিল, তার পরে তাঁর ওজন বেড়েছে মাত্র ৪ কেজি!
গিনেস ওয়ার্ল্ডে নাম না থাকলে জ্যোতির পরিণতি কী হতে পারত, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কিন্তু এই সূত্রে তিনি নানা টিভি শোয়ে সগৌরবে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি মুখ দেখিয়েছেন মিকা সিংয়ের (Mika Singh) গানের ভিডিওয়। তাঁকে নিয়ে আলাদা করে একটি তথ্যচিত্রও তৌরি হয়েছে, যার নাম টু ফুট টল টিন (Two Foot Tall Teen)।
খবর বলছে যে, জামাকাপড় তো বটেই, পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার বাসনও জ্যোতির জন্য আলাদা করে বানিয়ে দিতে হয়। কিন্তু এই জীবন নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর। বরং এই শারীরিক ত্রুটি যে তাঁকে ভিড়ের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে এবং সম্মানও দিয়েছে, তার জন্য যারপরনাই গর্বিত এই দুই ফুটের যুবতী!