আলাস্কার জুনাও, অ্যাংকোরেজ এবং ছোট্ট শহর বারওয়ের মধ্যে অবস্থিত ত্রিভুজাকার এলাকাটি আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিতি পেয়েছে। আলাস্কার অন্য সব অঞ্চলের মতো এখানেও জনবসতি কম। কিন্তু মানুষ নিখোঁজের হার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলের দ্বিগুণের বেশি। অসংখ্য অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটার গল্পও শোনা যায় এই এলাকায়। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতোই শক্তিশালী তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ ও ভিনগ্রহের প্রাণীদের এর জন্য দায়ী করেছেন কেউ কেউ।
advertisement
এসব তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে। সেখানে ধারণা করা হয় ১৯৭০ সাল থেকে গত ৫৩ বছরে জায়গাটি থেকে হারিয়ে গেছেন ৫০ হাজার মানুষ। অবশ্য এই সংখ্যা নিয়ে কিছুটা মতভেদ আছে। এই এলাকাটি নিয়ে প্রচলিত আছে নানা ধরনের কিংবদন্তি। এর মধ্যে আছে ‘সাসকুয়াচ’ বা ‘বিগফুটে’র মতো প্রাণীদের বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়ানোর গল্পও।
আরও পড়ুন: বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গেল বিজেপি নেতার বাড়ি! ভয়ঙ্কর অভিযোগ কলকাতায়, নেপথ্য ‘বড়’ কারণ
যেমন কেনাই পেনিনসুলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত পোর্টলক নামের এক শহরকে ঘিরে জন্ম নেওয়া সেই কাহিনিটির উদাহরণ টানা যায়। শহরটি ১৯৫০- এর দশকে পরিত্যক্ত হয়। কথিত আছে ‘নানতিনাক’ নামের একটি অচেনা প্রাণী শহরের বাসিন্দাদের আক্রমণ করে মেরে ফেলছিল।
আরও পড়ুন: এটি কী প্রাণী বলতে পারবেন? থ বিজ্ঞানীরাও, আসল সত্য বেরিয়ে আসতেই আকাশ থেকে পড়ল সকলে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল থেকে অনেক মানুষ রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও আলাস্কার কেবল এক শতাংশ এলাকায় মানব বসতি আছে, তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো রাজ্যের তুলনায় এখানে মানুষ নিখোঁজের হার বেশি। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে এই সংখ্যা প্রতি লাখে ৪২.১৬ জন। এদিক থেকে এর পরের অবস্থানে অ্যারিজোনা, তবে এর বেলায় সংখ্যাটি লাখে ১২.২৮। এ ক্ষেত্রে দেশের গড় কেবল ৬.৫।
প্রথম যে অন্তর্ধানের ঘটনা আলাস্কা ট্রায়াঙ্গলের প্রতি মানুষের মনে কৌতূহলের জন্ম দেয় সেটি ঘটে ১৯৭২ সালে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান হেল বোগস, নিক বেগিচ, তাঁদের একজন সহকারী এবং পাইলট একটি সন্দেহভাজন এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পরে নিখোঁজ হন। অ্যাংকোরেজ থেকে জুনাও যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৪০ দিনের অনুসন্ধান অভিযানে কারও শরীর তো পাওয়া যায়ইনি, এমনকি মেলেনি উড়োজাহাজটির কোনো ধ্বংসাবশেষ।
আলাস্কার সেই জায়গায় মানুষের বসতি নেই বললেই চলে। এখানে প্রায়ই ভুতুড়ে ঘটনা ঘটে। ইউএফও নিয়ে যাদের আগ্রহ বেশি, তাঁরা সেখানে ঘুরতে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর অনেকেই আর ফিরে আসতে পারেননি। ১৯৭০ সালের পর গত ৫৩ বছরে সেখানে গিয়ে রীতিমতো গায়েব হয়ে গেছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
সেখান থেকে ঘুরে ফেরত আসা ওয়েস স্মিথ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি সেখানে ইউএফও দেখিছি। দেখতে সাধারণ আকাশযানের মতো নয়। সেখানে গেলে মনে হবে, এই সব জিনিস তো স্বপ্নেও ভাবিনি। এগুলো কোথা থেকে এল।’