প্রথমত এটি ভীষণ কষ্টকর একটি পদ্ধতি! ঠোঁট কেটে ঢোকানো হয় এই চাকতি! আর এই কাজ কোনও চিকিৎসক করেন না! করেন ওই উপজাতিদের মহিলারাই। বিশেষ করে যখন মুরসি মেয়েদের বিয়ের বয়স হয় সে সময় এটা করা হয়। বিয়ের ছয় মাস বা এক বছর আগে এই ঠোঁট কাটা হয়! মেয়ের মা বা মুরসি কোনও মহিলা ধারালো কিছু দিয়ে কেটে দেয় মেয়ের ঠোঁট। এর পর সেখানে বসিয়ে দেওয়া হয় কাঠের চাকতি।
advertisement
আরও পড়ুন:
কত বড় চাকতি পরানো হবে সেটা নির্ভর করে মেয়েটির মতের উপর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ঠোঁট ঝুলে নিচের দিকে পড়ে যায়! এই কষ্টকর কাজটি তাঁরা করেন মঙ্গলকামনায়। এবং মেয়েটিকে কু-নজর থেকে বাঁচাতে। এমনটাই বিশ্বাস! সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে আসে যেখানে চাকতি সরিয়ে মেয়েটি তাঁর ঠোঁট দেখাচ্ছে। যা সত্যিই ভয়ঙ্কর আকার নেয়।
বিয়ের পর মেয়েরা এই চাকতি পরে তবে তাঁর স্বামীকে খাবার পরিবেশন করেন। এতে স্বামীর প্রতি তাঁর আনুগত্য ও ভালবাসা বোঝা যায়! তবে এই চাকতিকে শুধু এই সব কারণ ছাড়াও মনে করা হয় এটা মুরসি মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতীক। মেয়েরা নিজেরাও এই চাকতি বসাতে উৎসাহিত থাকে। তবে স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়েরা এই চাকতি খুলে ফেলে। আর কখনও এই চাকতি সে পরতে পারবে না! আর এই অবাক করা কাণ্ড দেখতেই বহু পর্যতক যান ইথিওপিয়ার মুরসি উপজাতিদের দেখতে।