রোশনি ও উদিত সন্দেহ করছিল যে ছোট্ট মেয়ে তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে দিতে পারে। তাই ১৩ জুলাই রাতে দুজনে মিলে মেয়েকে মারধর করে, এরপর গলা টিপে খুন করে। খুনের পর মেয়ের দেহ একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে। এরপর তারা ঘরের দরজা বন্ধ করে লখনউয়ের এক হোটেলে চলে যায় এবং আনন্দে পার্টি করে।
advertisement
রোশনি প্রথমে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে অভিযোগ করে যে তার স্বামী শাহরুখই মেয়েকে খুন করেছে। পুলিশ তদন্তে নেমে ৩৬ ঘণ্টা পর বুঝতে পারে কিছু গোলমাল রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রোশনি ভেঙে পড়ে এবং সত্যি ঘটনা জানায়।
রোশনি ও উদিত মেয়ের দেহ বিছানার নিচে রাখা বক্সে লুকিয়ে রাখে। লাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে দেহ বের করে এনে এসির সামনে রেখে দেয়। এরপর দুজনে হোটেলে গিয়ে সারা রাত ঘুরে বেড়ায় ও মদ খায়। এরপর পরিকল্পনা করে মেয়ের খুনের দোষ স্বামী শাহরুখের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বর্ষায় বারবার ঘরে ঢুকছে সাপ! এই সস্তার জিনিসেই রয়েছে সমাধান, ধারেকাছে আর ঘেঁষবে না সাপ…
ডিসিপি (ওয়েস্ট) বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব জানান, রোশনি ও তার প্রেমিক উদিত লিভ-ইনে থাকতেন এবং শাহরুখের বাড়িতেই থাকতেন। রোশনির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে শাহরুখের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তবে তদন্তে তার ও উদিতের বক্তব্যে অসংগতি ধরা পড়ে। শিশুটি মা-বাবার মধ্যে বাবার সঙ্গে থাকতে চাইত। রোশনি তা মেনে নিতে না পেরে এ কাণ্ড ঘটায়।
জানা যায়, মেয়েকে মারার আগে রোশনি তাকে নির্মমভাবে পেটায়। মেয়ের পেটে পা রাখে এবং উদিত তার মুখ চেপে ধরেছিল। এরপর শিশুটির মৃত্যু হয়। সকালে তারা ঘর তালাবদ্ধ করে বাইরে ঘুরতে যায়, হোটেলে থাকে এবং পরবর্তীতে সাজানো গল্প বানিয়ে শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি দখলের পরিকল্পনা করে।
এই ঘটনা শুধু ভয়াবহ নয়, মনুষ্যত্বের কতটা অবনতি হতে পারে তার জ্যান্ত প্রমাণ। সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের এমন অবক্ষয় রীতিমতো উদ্বেগজনক।