সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সরকারের কাছে যে তথ্য জমা পড়েছিল, সেখান থেকে জানা গিয়েছে যে, গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলের পড়ুয়ারা প্রতিদিন ভোরবেলায় স্কুলে যায়। ফলে বিভিন্ন কারণে ব্রেকফাস্ট বা প্রাতরাশটা ঠিক মতো করে উঠতে পারে না তারা। অনেক সময় পারিবারিক আর্থিক অবস্থার জেরেও এমনটা হয়ে থাকে। এই কারণেই তামিলনাড়ু সরকার এই প্রকল্পটি এনেছে। যাতে গোটা রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে পাঠরত পড়ুয়ারা অভুক্ত না থাকে। আর রোজ স্কুলেই নির্বিঘ্নে তারা যাতে প্রাতরাশ করতে পারে, তার জন্যই এই প্রাতরাশ প্রকল্প আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ এই স্কিমটি চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে যা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে তামিলনাড়ুর সব স্কুলেই চালু করা হয়েছে এই প্রকল্পটি। যার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে রাজ্যের প্রায় ১৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন– এক সময় ছিল হিরে ব্যবসার বিশাল সাম্রাজ্য; এখন নীরব মোদির অ্যাকাউন্টে রয়েছে কত টাকা?
তবে এহেন প্রকল্প নিয়ে একটি ছোট্ট আর্জি জানাল মুরাসোলি মারান নামে এক পড়ুয়া। কারুর জেলার কুলিথালাইয়ের পাশে চেপলাপাত্তির চতুর্থ শ্রেণীর ওই পড়ুয়া মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের কাছে চিঠি লিখেছেন। তাতে জানিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রাতরাশ প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছে সে। আর খাবারের মানও খুবই ভাল। সেই সঙ্গে মুরাসোলি এ-ও জানিয়েছে যে, এই প্রকল্প দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষুধা নিবারণ করবে।
আরও পড়ুন-বিপুল সম্পদ তো রয়েছেই, দানধ্যানও করেন প্রচুর; দেশের পঞ্চম ধনী মহিলার নাম জানা আছে কি?
ওই পড়ুয়ার আর্জি, ওই ব্রেকফাস্ট প্রকল্পের নাম বদল করে আর্টিস্টস ব্রেকফাস্ট প্রোগ্রাম করা হোক। যেসব অঞ্চলে দরিদ্র শিশুরা খিদের জ্বালায় জর্জরিত, সেখানেও চালু করা হোক এই প্রকল্প। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সে চেপলাপাত্তির সরকারি মিডল স্কুল পরিদর্শন করারও আর্জি জানিয়েছে সে।
