ভাইরাল পোস্ট অনুসারে, এই ওষুধ দেওয়া ডেজার্ট নেদারল্যান্ডসে তৈরি করা হয়েছিল। খাবারটি শরীরে প্যারাসিটামলের মতো একই থেরাপিউটিক প্রভাব ফেলবে বলে জানা গিয়েছে, যা জ্বর, হালকা ব্যথা এবং মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। আরামদায়ক খাবারের সঙ্গে ওষুধের মিশ্রণের ধারণাটি অপ্রচলিত মনে হলেও সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা বাজারে এলে তা খেয়ে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
পোস্টটি অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা প্রতিক্রিয়া আর মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। প্যারাসিটামল-মিশ্রিত আইসক্রিমের কনসেপ্ট দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন, আবার কেউ কেউ নতুন স্বাদ তৈরি করার বিষয়ে রসিকতা করেছেন। কিছু কৌতূহলী ইউজার এমনকি তা খেয়ে দেখার আগ্রহও প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় এসআইআরের কাজ কবে থেকে শুরু হচ্ছে? কমিশনের বিশেষ বৈঠকেই উঠে এল দিনক্ষণের আভাস
এমনই কয়েকটি কমেন্ট –
“দয়া করে বলুন এটা কি AI,”
“তাহলে কত স্কুপ খাওয়া সঠিক পরিমাণ হতে পারে?”
“ওহ, আমি খেয়ে দেখতে চাই,”
“এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।”
“দারুণ, একটি ছোট ট্যাবলেট গিলে ফেলা বেশ কঠিন,”
“আর কোনও স্বাদ আছে? হয়তো আইবুপ্রোফেন বা নুরোফেনের মতো।”
“কিন্তু এর স্বাদ কি আইসক্রিমের মতো না প্যারাসিটামলের মতো?”
আরও পড়ুন: ভারতীয় ৩ বিজনেস স্কুল বিশ্বের শীর্ষ ১০০-তে স্থান ছিনিয়ে নিল, তালিকায় বাংলার কোন প্রতিষ্ঠান?
সত্যিটা আসলে কী
ফ্যাক্ট-চেকাররা প্যারাসিটামল আইসক্রিমের ভাইরাল ছবিটির উৎপত্তিস্থল খুঁজে পেয়েছেন, যা নাগেলকার্কে শহরে অবস্থিত ম্যাডি নামক একটি ডাচ প্যাটিসেরি থেকে এসেছে। আইসক্রিমটি ২০১৬ সালে হল্যান্ডে স্থানীয় একটি মেলায় একটি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে এক প্রধান আকর্ষণ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নয়।
পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি এই আইসক্রিমটি বাজারেও আসেনি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কারণে এর উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে পণ্যটি কখনই চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়নি এবং প্রদর্শনী থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও প্যারাসিটামল-মিশ্রিত আইসক্রিম শীঘ্রই বাজারে আসছে না, তবে এটি অবশ্যই ওষুধ ব্যবহারকে আরও সুবিধাজনক করে তোলার বিষয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।