সম্প্রতি একটি জার্নালে জানানো হয়েছে, হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ডায়ানে চেস এবং আর্লেন চেস ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে সেখানে খনন শুরু করেছিলেমন। তখন থেকে এই প্রথমবার ক্যারাকোলে একটি শনাক্তযোগ্য রাজকীয় সমাধি পাওয়া গেছে। e K’ab Chaak ক্যারাকোলের সিংহাসনে ৩৩১ খ্রিস্টাব্দে বসেছিলেন এবং এই সমাধিটি প্রায় ৩৫০ খ্রিস্টাব্দের বলে মনে করা হচ্ছে। সমাধিতে যা পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে রাজকীয় জীবনের অনেক জাঁকজমকপূর্ণ ঝলক দেখা যায়। রাজকীয় সমাধিতে মাটির পাত্র, খোদাই করা হাড়, সামুদ্রিক শাঁস, টিউবুলার জেড মুক্ত এবং জেড দিয়ে তৈরি মোজাইক ডেথ মাস্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল।
advertisement
রহস্যময় ভাবে হারিয়ে যাওয়া শহর:
খননকার্যে পাওয়া একটি পাত্রে একটি মায়া শাসককে বর্শা হাতে দেখানো হয়েছে যখন অন্যটিতে বাণিজ্যের দেবতা ‘এক চুয়াহ’-কে দেখানো হয়েছে। যে কারাকোল শহরে এটি পাওয়া গিয়েছে তা ষষ্ঠ এবং সপ্তম শতাব্দীতে মায়া বিশ্বের প্রধান কেন্দ্র ছিল। একসময় এই শহরটি ১০০,০০০-এর বেশি মানুষের বাড়ি ছিল। কিন্তু ৯০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এটি অন্যান্য মায়া সভ্যতার শহরের মতো রহস্যময়ভাবে পতনের দিকে চলে যায়। এর ধ্বংসাবশেষ আজ বেলিজের কায়ো অঞ্চলের পাহাড়ি জঙ্গলে পাওয়া যায়।
এই শহর ৬৮ বর্গ মাইলের বেশি এলাকায় বিস্তৃত ছিল, যেখানে বিশাল রাস্তা, ভবন এবং ১৪০ ফুট উঁচু পিরামিডের মতো কাঠামো ছিল, যা আজও বেলিজের সবচেয়ে উঁচু ইমারতগুলির মধ্যে একটি।
মেক্সিকোর সঙ্গে কী সম্পর্ক?
২০১০ সালে এখানে পাওয়া কিছু ওব্সিডিয়ান ব্লেডস এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম মেক্সিকোর তেওতিহুয়াকান শহরের প্রভাব দেখায়। কিন্তু তে Te K’ab Chaak-এর সমাধির বয়স তার থেকেও আগে, যা প্রমাণ করে যে সেই সময় এখানকার শাসক স্বদেশী মায়া ছিল। প্রফেসর আর্লান চেসের মতে, ‘‘এই দুই অঞ্চলের শাসকরা শুধু একে অপরের ধর্মীয় প্রথাগুলি সম্পর্কে জানতেন না, বরং আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কও রাখতেন।’’