বলা হয় যে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী মহিলারা সাধারণত নিজের স্বামীর মধ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গুণ চান। কিন্তু হরিয়ানার বছর চৌত্রিশের জ্যোতি ভাদওয়ার নিজের বিবাহিত জীবনের জটিলতায় বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। সেই কারণেই ভগবান শ্যাম সুন্দরকে নিজের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আপাতত নিজের বাবা বিবেকানন্দ মহারাজ এবং মা বৈষ্ণবী বোরিকরের সঙ্গে বৃন্দাবনেই থাকেন জ্যোতি। তিনি নিজেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম ভক্ত। সেই কারণেই বিয়ে করেছেন লাড্ডু গোলাপলকে। এই বিয়েতে তাঁর গুরু ডক্টর গৌতম কন্যাদান করেছেন। আর লাড্ডু গোপালের বরযাত্রীতে যোগ দিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ।
advertisement
মানুষ খুব খুশি, সমস্ত রীতি-আচার সম্পন্ন হয়েছে:
ড. গৌতম বলেন যে, সাধারণ বিয়ের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানা হয়, সেই সমস্ত কিছুও এক্ষেত্রে মানা হয়েছে। যেমন- গায়ে হলুদও রীতি মেনে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের জন্য মীরা রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন জ্যোতি। এরপর বৃন্দাবনের ছাহ শিকারে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ ধাম সোসাইটিতে পৌঁছন। সেখানেই বাজনা-হুল্লোড় সহকারে বিয়ের সমস্ত রীতি-আচার সম্পন্ন হয়। সমস্ত আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা সামিল হয়েছিলেন বিয়েতে। সকলেই খুব খুশি। তাঁরা কনে মীরা তথা জ্যোতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কনের বক্তব্য:
অভিনব এই বিয়ের পর জ্যোতি থেকে মীরা হয়েছেন তিনি। জ্যোতি তথা মীরা বলেন যে, “রাতে ঘুমিয়ে আমি যে স্বপ্ন দেখতাম, আজ দিবালোকে সেই স্বপ্নই যেন সত্যি হল!” আর এহেন বিয়েতে অংশগ্রহণ করতে পেরে জ্যোতির আত্মীয় এবং বরযাত্রীরা খুবই খুশি হয়েছিলেন। সকলের আনন্দ-নাচ-গান দেখে তাঁদের বাঁধভাঙা আনন্দের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অবশেষে সন্ধ্যাবেলায় হয়েছে জ্যোতির বিদায়ীর অনুষ্ঠান।
কনের বাবার বক্তব্য:
জ্যোতির বাবা বিবেকানন্দজি মহারাজ নিজেও মেয়ের এই বিয়ে নিয়ে খুব খুশি। তিনি বলেন, “প্রত্যেক মানুষই জীবনে বিয়ে করেন। কিন্তু আমার কন্যাও এমন একজনকে বিয়ে করেছেন, যিনি সকলের রক্ষাকর্তা। সারা জীবনের জন্য জ্যোতি তাঁকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছেছেন।”