তাঁর বক্তব্য, “আগে প্রেমানন্দ বাবা থাকতেন বেনারসে। আমি সেখানে যেতাম আমার স্বামী শ্রী রাম শর্মাজির সঙ্গে। আমার স্বামীকে রাসের প্রস্তুতি করতে হত। আর তা দেখতে বেনারসে আসতেন প্রেমানন্দ মহারাজ।” ওই মহিলা আরও বলেন যে, এরপরেই প্রেমানন্দ মহারাজ তাঁর স্বামী শ্রী রাম শর্মাজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আর বলেছিলেন যে, ‘আমায় বৃন্দাবন নিয়ে চলুন’। জবাবে উনি বলেছিলেন যে, বাঁকে বিহারীজি যাঁর হাত ধরেন, তিনি স্বয়ং বৃন্দাবনে এসে যেতে পারেন। আসলে বাঁকে বিহারীজি আপনার হাত ধরে বৃন্দাবনে নিয়ে যাবেন।
advertisement
শীলা নামে ওই বৃদ্ধার বয়স ৯০ বছর। তাঁর কথায়, “আমরা যখন প্রেমানন্দ মহারাজকে বেনারসে দেখেছিলাম, তখন তাঁর লম্বা লম্বা জটা ছিল। উনি ফকিরের মতো থাকতেন। কিন্তু বৃন্দাবনে আসার পর থেকে তিনি দেবী রাধার নাম প্রচার করতে শুরু করেন। এমনকী অসুস্থতা সত্ত্বেও রাতে বাইরে এসে ভক্তদের দর্শন দিতেন তিনি।” প্রেমানন্দ মহারাজের অসুস্থতা প্রসঙ্গে ওই বৃদ্ধা বলেন যে, তাঁর কিডনির অবস্থা খারাপ। তা সত্ত্বেও তিনি রাতে দর্শন দিতে বেরোন। তিনি আরও বলেন যে, প্রেমানন্দ মহারাজ রাতে বেরোন এবং সকলের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। শত কষ্ট সত্ত্বেও তিনি ভাবেন যে, তাঁর ভক্তরা তাঁর অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাই দর্শন দেওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রেমানন্দ মহারাজের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন বৃন্দাবনের এনআরআই গ্রিন কলোনির মহিলারা। প্রতিবাদ আন্দোলন চলতে থাকে ওই সন্তের বিরুদ্ধে। এরপরেই এই বিষয়টি গোটা দেশেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে গিয়েছে। ওই মহিলাদের প্রতিবাদের কারণ জানতে চান সকলেই। আসলে রাতে সন্ত প্রেমানন্দ পদযাত্রা নিয়েই প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন ওই মহিলারা।
সূত্রের খবর, প্রতিদিন রাত ২টো নাগাদ নিজের শিষ্যদের নিয়ে পদযাত্রা করে শ্রীরাধাকালী কুঞ্জ আশ্রমের দিকে যেতেন সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজ। আর এই পদযাত্রার সময় হাজার হাজার ভক্তরা নাম-গান এবং ভজন-কীর্তন করতে থাকেন। আর এই পদযাত্রা চলাকালীন ওই ভজন-কীর্তনের আওয়াজে হয়রানি হচ্ছে এলাকাবাসীর। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে, প্রতিবাদের মুখে পড়ে পদযাত্রার স্থান এবং সময় পরিবর্তন করেছেন সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজ।