এই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, ৭২ ঘণ্টার শিফট শেষ করে বাড়ি ফেরামাত্রই তাঁর উপরে রাগারাগি শুরু করেছেন স্ত্রী৷ অন্যান্য অনেকের মতোই ওই গৃহবধূরও অভিযোগ, তাঁর স্বামী অফিসের কাজের জন্য বাড়িতে পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছেন না৷ সংসারের যাবতীয় কাজ তাঁকেই সামলাতে হচ্ছে বলে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন ওই স্ত্রী৷
ভাইরাল এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷ যদিও ওই ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি রেলে চাকরি করেন৷ ৭২ ঘণ্টার ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফেরার পর স্বভাবতই তাঁকে ক্লান্ত এবং অবসন্ন লাগছে৷
advertisement
ভিডিও-তে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে দেখা না গেলেও তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এই যে উনি এসেছেন৷ ৭২ ঘণ্টা রেলকে দেবেন, আর ১৬ ঘণ্টা বাড়িতে দেবেন৷ সারাদিন ঘরের সব কাজ আমিই করতে থাকি৷ চুপ করে আছো কেন এখন?’
স্ত্রী তাঁর উপরে ক্ষোভ উগরে দিলেও ওই রেলকর্মীকে দেখে এতটাই ক্লান্ত লাগছে যে কথার উত্তরটুকু দেওয়ার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না তিনি৷ এই ভিডিও দেখে অনেকেই পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি কীভাবে উপেক্ষিত হয়, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন৷ পরিবারের প্রতি নিজেদের কর্তব্য পূরণে বহু পুরুষকেই কীভাবে নিজেদের ইচ্ছের বিরুদ্ধেও অনেক সময় পেশাদারি দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়, সেই বিষয়টিও মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে৷ এই ভিডিও দেখে একজন মন্তব্য করেছেন, ওনার ক্লান্ত চোখ দুটির দিকে একবার দেখুন৷
আর একজন লিখেছেন, ওই ব্যক্তি চুপ করে আছেন৷ কারণ উনি হয়তো এই নাটক আগেও বহুবার দেখেছেন৷ এই পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকাটাই যে সবথেকে নিরাপদ, সেটা উনি জানেন৷
তবে কেউ কেউ ওই ব্যক্তির স্ত্রীর দাবির সঙ্গেও সহমত পোষণ করেছেন৷ সেরকমই একজন লিখেছেন, দু দিকই দেখে সমানভাবে বিচা্র করা উচিত৷ ওনার যেমন বিশ্রাম প্রয়োজন, সেরকমই ওনার পরিবারেরও ওনাকে প্রয়োজন৷৷