এই অনন্য ঐতিহ্যটি ১৭৮৯ সাল থেকে সান পেড্রো হুয়ামেলুলায় চলছে, চুন্টাল এবং হুয়াওয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তির স্মরণে। স্থানীয় লোককাহিনী অনুসারে, চন্টাল রাজা (মেয়র) হুয়াওয়ে প্রিন্সেসকে (কুমির হিসাবে চিত্রিত) বিয়ে করেছিলেন, যা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়েছিল। এই প্রতীকী বিবাহটি ধরিত্রী মা এবং মানবতার মধ্যে সংযোগকে নির্দেশ করে, কুমিরকে ধরিত্রী মায়ের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই আচারের মাধ্যমে, সম্প্রদায়টি বৃষ্টি, ভাল ফসল, মাছের প্রাচুর্য এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য প্রার্থনা করে।
advertisement
বিয়ের প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকতাঃ এই অনন্য বিবাহের অনুষ্ঠানটি কুমির দিয়ে শুরু হয়, যাকে স্থানীয়রা “লা নিনা প্রিন্সেস” (ছোট রাজকন্যা) বলে, শহরের বাড়িতে। কুমিরটি রঙিন ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়, যেমন ফুল দিয়ে সাজানো পোশাক এবং তারপরে একটি সাদা বিবাহের গাউন। নিরাপত্তার জন্য তার মুখ ফিতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। অনুষ্ঠানের আগের দিন কুমিরটিকে বাপ্তিস্ম দেওয়া হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নাম দেওয়া হয়। এ বছর কুমিরটির নাম রাখা হয় ‘মিগুয়েলানা এস্তেলা দেল মার জাভালেত্তা রামিরেজ’।
ধুমধাম করে বিয়েঃ ৩০ জুনের অনুষ্ঠানে মেয়র ড্যানিয়েল গুতিয়েরেজ কুমিরের প্রতীক সম্বলিত ঐতিহ্যবাহী সাদা পোশাক পরেছিলেন। অনুষ্ঠানটি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সংগীতশিল্পী এবং নৃত্যশিল্পীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মেয়র কুমিরের কপালে চুম্বন এঁকে দেন। প্রথম নৃত্য পরিবেশন হয়, যা আচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্থানীয় বাসিন্দা লুইস ম্যানুয়েল লোপেজ বলেন, “আমাদের জন্য, এই অনুষ্ঠানটি ধরিত্রী মা এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রচুর ফসল, মাছ এবং আমাদের অঞ্চল যা সরবরাহ করতে পারে তার জন্য একটি প্রার্থনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনাঃ অনুষ্ঠানের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা মানুষকে বিস্মিত করেছে এবং এই অনন্য ঐতিহ্যের প্রশংসা করেছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “২৩০ বছরের পুরনো রীতি? ঐতিহ্য নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় হতে পারে, কিন্তু তা যদি মাছ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে, তাহলে অভিযোগ করবে কে?” আরেকজন ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, “এই বিয়েটি ২০২৪ সালের অনেক রাজনৈতিক জোটের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান বলে মনে হচ্ছে!” তবে এ ধরনের কোনও আচার পালন করা হয় না। এটি একটি প্রতীকী বিয়ে মাত্র।