১৯৭০ সাল থেকেই এ ভাবে হাত তুলে থাকা অভ্যাস করেছিলেন অমর ভারতী। কিন্তু তখনও নিয়মিত এই অভ্যাস শুরু হয়নি। তখনও তিনি সংসার করেন, ছিলেন স্ত্রী, ও তিন সন্তান। ১৯৭৩ সালে তিনি সংসার ছাড়ার পরিকল্পনা নেন। ব্যাঙ্কে উচ্চপদে কাজ করতেন তিনি। সেই চাকরি ছাড়েন। বাড়িতে তখন তিন ছোট সন্তান ও স্ত্রী। তাঁদের ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন শিবের সাধনা করতে। সেই সময়েই সাধনার নতুন পথ বার করেন অমর। অমর শিবের সাধনা করতে হাত উঁচু করে সাধনা করতে শুরু করেন। সেই হাত উঁচু করেই রেখেছেন তিনি। এত বছরে হাত নামেনি তাঁর। তিনি বলছেন, দুনিয়ায় মানুষে মানুষে হিংসা রোধ করতে চান তিনি। সেই কারণে এত দিন ধরে সাধনা করে আসছেন, ঈশ্বরের কাছে তিনি প্রার্থনা করেন, মানুষে মধ্যে হিংসার ভাব কমে যেন বন্ধুত্বের বাতাবরণ তৈরি হয়।
advertisement
কী করে এত বছর ধরে হাত উঁচু করে আছেন তিনি? কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে তো এ ভাবে হাত উঁচু করে চলা সম্ভব নয়। অমর ভারতী বলছেন, এই সাধনা শুরু করার প্রথম দু'বছর হাতে প্রবল যন্ত্রণা হত তাঁর, খুব কষ্ট হত। কিন্তু ওই সময়টা কাটিয়ে দেওয়ার পর থেকে আর হাতে কোনও যন্ত্রণা হয় না। ধীরে ধীরে তিনি হাতের সমস্ত অনুভুতি হারিয়ে ফেলতে থাকেন। এখন যেমন এটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-লেবুর জল না মেথির জল, ওজন কমাতে কোনটা সেরা? বিভ্রান্তিতে না ভুগে জেনে নিন এখনই
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এখন চাইলেই হাত আবার স্বাভাবিক অবস্থান আনতে পারবেন না ভারতী। কারণ তাঁর হাতে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনের গতি আগের মতো নেই। হাতের গতিপথ স্বাভাবিক করতে অনেক কসরত করতে হবে। তবে আপাতত সে পথে হাঁটতে চান না সাধুবাবা।