মহুয়া। নামটা নিশ্চয়ই শুনেছেন! মধ্য ভারতে দেশি মদের একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে বিবেচিত হয় এটি। মহুয়া হল ফুল থেকে তৈরি একটি পানীয়। কয়েক শতাব্দী ধরে মধ্য ভারতের আদিবাসীরা বিশেষ করে ছত্তিশগড়ে এটি তৈরি হচ্ছে।
রসালো ফুল রোদে শুকোতে দেওয়া হয়। তার পর তা থেকে স্পিরিট উৎপাদন করা হয়। মিষ্টি ফুল থেকে তৈরি একমাত্র ডিসটিলড পানীয় এটি।
advertisement
ভারতের আদিবাসীদের কেন্দ্রস্থলে এই গাছটিকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। বিস্তীর্ণ এলাকায় জন্মায় এই। বেশিরভাগ আদিবাসীরা আলাদা আলাদা গাছের মালিকানা নেয়।
আরও পড়ুন- এক বিধবার অভিশাপে শেষ এই গ্রাম! লোকজন পালায়, কেউ থাকতে পারে না
তাঁরা জমি পরিষ্কার করে এবং ঝোপঝাড় থেকে মুক্ত রাখেন। মহুয়ার ফুল কেউ কখনো ছেঁড়ে না। তাঁরা গাছে পাকা ফুল নিজে থেকেই পড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। তার পরই তা সংগ্রহ করা হয়।
মহুয়া মধ্য ভারতের আদিবাসীদের উৎসব ও আচার-অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত। তাই এই গাছ তাদের ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী সংরক্ষণ ও লালন-পালন করা হয়।
মহুয়া থেকে মদ তৈরির ক্ষেত্রে স্থানীয় আদিবাসীরা শ্রমসাধ্য প্রক্রিয়ায় জড়িত। মহুয়া ঔষধি গুরুত্বের জন্যও পরিচিত। প্রথমে মহুয়া ফুলগুলিকে ৭-৮ দিন রোদে শুকিয়ে জলের পাত্রে রাখা হয়। এর পরে একটি বর্ণহীন তরল বেরিয়ে আসে। তারপর এর গুণমান পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন- সিভি আকর্ষণীয় হলে ভাল চাকরি একদম পাকা! বায়োডাটায় কিন্তু ‘এসব’ লিখবেন না
মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে মহুয়া সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাংলার বিভিন্ন এলাকাতেও এটি পাওয়া যায়। এতে অ্যালকোহলের পরিমাণ ১৭ থেকে ২২ শতাংশ পর্যন্ত হয়। মধ্যপ্রদেশ সরকার মহুয়াকে রাজ্যের হেরিটেজ লিকারের মর্যাদা দিয়েছে।