তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তরুণীর নাম সামিরা ফতিমা৷ অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতারের সময় তিনি তাঁর পরবর্তী টার্গেট খুঁজছিলেন৷ সম্ভাব্য নবম শিকারের সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি ধরা পড়েন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্ত নববধূ তাঁর ‘স্বামীদের’ ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিলেন। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
advertisement
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে যে সামিরা ফতিমা তাঁর বিভিন্ন স্বামীদের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য একটি চক্রের সঙ্গে কাজ করছিলেন। পুলিশ জানতে পেরেছে যে অভিযুক্ত সামিরা পেশায় একজন শিক্ষিকা। পুলিশের ধারণা যে তিনি গত ১৫ বছরে বেশ কয়েকজন পুরুষকে প্রতারণা করেছেন৷
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন যে সামিরা তাঁর শিকারদের শনাক্ত করতে এবং প্রলুব্ধ করতে বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক ব্যবহার করতেন। তিনি ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে ক্রমে তাঁর জীবনের আবেগঘন গল্প শেয়ার করতেন। সমবেদনা আদায় করতে হবু ‘স্বামী’-দের কাছে নিজেকে একজন অসহায় বিবাহবিচ্ছিনা বলে দাবি করতেন৷ বলতেন তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে৷ কথার জালে সহজেই তিনি সহানুভূতি এবং বিশ্বাস অর্জন করতে পারতেন।
এর আগের একটি মামলায় প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছিলেন সামিরা৷ কিন্তু সে যাত্রা নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে মিথ্যা দাবি করে গ্রেফতারি এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ অবশেষে গত ২৯ জুলাই নাগপুরের একটি চায়ের দোকান থেকে গ্রেফতার করা হয় এই ঠগিনীকে৷