কৃষি খাতে কাজ করাই মহার্যমানের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দিতেই সূর্যাংশ রানার সঙ্গে ২০২২ সালে শুরু করেন কৃষি স্টার্ট আপ ‘মাই মান্ডি’। সেই ব্যবসাই আজ ১ কোটি টাকা আয় করল। ২৭ বছর বয়সী মহার্যমানের বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ এবং সফটব্যাঙ্কের মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
advertisement
বাবা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো দুন স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন মহার্যমান। জিএআইএল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। পড়াশোনার পর বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপে কিছুদিন কাজ করেন। মহার্যমান খাদ্যরসিক। তবে সবচেয়ে পছন্দের জিনিস গানবাজনা। এই শখ থেকেই ক্যাম্পবেল নামের একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি। ক্যাম্পবেলে অংশগ্রহণের জন্য মাথাপিছু ৭৫ হাজার টাকা এন্ট্রি ফি এবং মাইগ্রেশনের জন্য ২ লাখ টাকা চার্জ করা হয়। একইভাবে ‘প্রবাস’ নামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করেন মহার্যমান।
সবজির স্টার্টআপ, তাও সফল: ২৭ বছর বয়সে ব্যবসায় নামেন মহার্যমান। শুরু করেন কৃষি স্টার্ট আপ ‘মাই মান্ডি’। অনলাইন সংস্থা। কাজ, তাজা ফল এবং সবজি সরবরাহ করা। মহার্যমানের স্টার্ট আপ স্কেল মডেলে কাজ করে। কোম্পানি একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সবজি কেনে। তারপর সবজি বিক্রেতাদের কাছে পাঠায়। জয়পুর, নাগপুর, গোয়ালিয়র এবং আগ্রায় পরিষেবা দিচ্ছে মাই মান্ডি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের আয় মাসে ১ কোটি টাকা। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তা পাঁচ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাসাদে বাস: গোয়ালিয়রের জয় বিলাস প্রাসাদে থাকেন মহার্যমান। এই প্রাসাদের ৪০০ কক্ষ, রক্ষণাবেক্ষণে খরচ ৪ হাজার কোটি টাকা। ১৮৭৪ সালে ১.১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই প্রাসাদ। মহার্যমানের বাবা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বর্তমানে নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৭৯ কোটি টাকা।