TRENDING:

ছদ্মবেশে সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছলেন বিচারক; তাঁকে কথক ভেবে ভিরমি খেলেন কারাবন্দিরা

Last Updated:

আচমকাই ওই ব্যক্তিকে দেখে সেলাম ঠুকতে শুরু করেন উর্দিধারীরা। এবার বন্দিদের অবাক হওয়ার পালা। একজন গল্পকারকে কেন সেলাম করবেন উর্দিধারীরা, এটাই বারবার মনে হতে থাকে তাঁদের। আসলে পাগড়ি পরিহিত ওই ব্যক্তি ছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার মুখ্য জেলা বিচারক।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
অনুজ গৌতম, মধ্যপ্রদেশ: সেন্ট্রাল জেলে বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছিল। বক্তব্য রাখতে তখন জজ সাহেবের হাজির হওয়ার কথা। সকলেই তাঁর অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিকে ঠিক সেই সময় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন পাগড়ি বাঁধা এক ব্যক্তি। প্রথমে সকল বন্দিই ভেবেছিলেন যে, পাগড়ি বাঁধা ওই ব্যক্তি বোধহয় কোনও গল্পকার বা কথক হবেন। কিন্তু আচমকাই ওই ব্যক্তিকে দেখে সেলাম ঠুকতে শুরু করেন উর্দিধারীরা। এবার বন্দিদের অবাক হওয়ার পালা। একজন গল্পকারকে কেন সেলাম করবেন উর্দিধারীরা, এটাই বারবার মনে হতে থাকে তাঁদের। আসলে পাগড়ি পরিহিত ওই ব্যক্তি ছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার মুখ্য জেলা বিচারক। আর জজ সাহেবের এহেন রূপ দেখে রীতিমতো ভিরমি খান উপস্থিত সকলে।
ছদ্মবেশে সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছলেন বিচারক; তাঁকে কথক ভেবে ভিরমি খেলেন কারাবন্দিরা
ছদ্মবেশে সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছলেন বিচারক; তাঁকে কথক ভেবে ভিরমি খেলেন কারাবন্দিরা
advertisement

আরও পড়ুন– আজ দিনভর মেঘলা আকাশ, হবে বৃষ্টি, আগামী কয়েকদিন রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে ? জেনে নিন

এরপরেই সাগরের প্রধান জেলা বিচারক অরুণ কুমার সিং সকলকে ঈশ্বরের কাছে শরণ নেওয়ার অনুপ্রেরণা জোগান। এমনকী ভজন, কথা, জপের মাধ্যমে সঠিক পথ অবলম্বন করারও আর্জি জানান তিনি। সাগরের ওই জেলের বক্তৃতার মূল উপজীব্য ছিল, আত্মসমর্পণ হল ঈশ্বরকে লাভ করার সর্বোত্তম মাধ্যম আর সমস্ত সুখের উৎস। অরুণ কুমার সিং বলেন, “ঈশ্বরের ভক্তির জন্য শুদ্ধ মনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের ভিতরে কী অনুভূতি আছে! বাহ্যিক অনুভূতি আসলে কী? এটা বোঝা খুবই কঠিন।”

advertisement

আরও পড়ুন– ‘বাংলায় সিএএ কার্যকরে বাধা দিলে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে…’ ! চরম হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার

তিনি আরও বলেন, “আপনারা জেলের বাইরে যেতে পারবেন না। জেলে লড়াই করুন কিংবা ঝগড়া করুন কিংবা ঈশ্বরের আরাধনা করুন না কেন, সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে। যিনি এই সময়টা কাজে লাগান না, তিনি সারা জীবন কষ্ট পান। তখন তিনি সময়কে দোষারোপ করবেন, কর্মফলকে দোষারোপ করবেন, ঈশ্বরকে দোষারোপ করবেন যে, ঈশ্বর অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট। এভাবে মানুষ পাপ করে, তার পুরো ঘর নষ্ট হয়ে যায়, আমি ভাল কাজ করি এবং আমার জেল হয়। মিথ্যা অভিযোগ করবেন।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

একই সুর শোনা গেল জেল সুপার দীনেশ কুমার নার্গেভের কথাতেও। তাঁর বক্তব্য, “জেলবন্দিরা দুঃখ-বিষাদের মধ্যে বাস করেন বলেই এই বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বন্দিদের ধর্মীয় উন্নতি করাও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আর তাঁদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এই ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতেই থাকে।”

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
ছদ্মবেশে সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছলেন বিচারক; তাঁকে কথক ভেবে ভিরমি খেলেন কারাবন্দিরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল