এ যেন এক বলিউড অ্যাকশন থ্রিলার! লখনউয়ের বাসিন্দা সোনু কাশ্যপ তার মায়ের ওপর হামলাকারী মনোজকে খুঁজে বের করার জন্য কেটে ফেলল দশটা বছর। এই একরোখা জেদের পরিণতি হল এক নৃশংস খুন – আর তারপরের এক পার্টি, যা ফাঁসিয়ে দিল তাদের।
আরও পড়ুন: তালাবন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের প*চাগ*লা দেহ! হিমাচলে রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য
advertisement
মনোজ ছিল একজন নারকেল বিক্রেতা। একটি ছোটখাটো বিবাদের জেরে সে সোনুর মা-কে হেনস্থা করে। ঘটনার পর মনোজ বেমালুম উধাও হয়ে যায়। মনোজের নিরুদ্দেশ যাত্রার সাথে সাথে সোনুর প্রতিশোধের স্পৃহা যেন আরও গভীর হল। এই বছরের শুরুর দিকে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর সোনু অবশেষে মনোজের খোঁজ পেল লখনউয়ের মুনশি পুলিয়া এলাকায়। এবার শুরু হয় তার হামলার পরিকল্পনা।
সোনু তার চার বন্ধু রঞ্জিত, আদিল, সালামু এবং রেহমত আলিকে এই কাজে শামিল করল। একটি শর্তে – কাজ শেষ হওয়ার পর হবে জমজমাট পার্টি! গত ২২শে মে, মনোজ তার দোকান বন্ধ করার পর, তারা তাকে অতর্কিত আক্রমণ করে। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করা হয় মনোজকে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী চিনে আম গাছ পাঠিয়েছিলেন? ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি…
এই হত্যাকাণ্ড হয়তো অধরাই থেকে যেত। কিন্তু এই ঘটনার পর তাদের উদযাপনের পার্টিই কাল হলো। পার্টিতে পানীয়, গান এবং নাচের আসরের ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল। একটি ছবিতে দেখা গেল, অভিযুক্তদের একজন সেই একই কমলা রঙের টি-শার্ট পরে আছে, যা অপরাধস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছিল। পুলিশ দ্রুত ফুটেজ ও ছবির মিলিয়ে দেখে, অনলাইন প্রোফাইল ঘেঁটে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকেই গ্রেফতার করে।
প্রতিশোধের এই খেলার শেষ হল না কোনও জয়ের উল্লাসে, বরং প্রত্যেককেই যেতে হল জেলে। এটি এক জ্বলন্ত প্রমাণ যে, কীভাবে দীর্ঘদিনের বিদ্বেষ বছরের পর বছর ধরে মানুষকে গ্রাস করে, আর শেষ পর্যন্ত কেড়ে নেয় জীবন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এই চরম পরিণতি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বিচার হয়তো ধীরগতিতে চলে, কিন্তু ন্যায়বিচার তার পথ ঠিকই খুঁজে নেয়।