বিশ্বের অনন্য বিষয়গুলি নিয়ে আমরা হামেশাই আলোচনা করে থাকি। যা পাঠকদের চমকে দেয়। আসলে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ‘Quora’-তে একজন প্রশ্ন করেছিলেন যে, এক ভারতীয় গণিতবিদের আবিষ্কার করা ৬১৭৪ সংখ্যাটি কেন ম্যাজিক্যাল সংখ্যা। প্রশ্নটাও বেশ আকর্ষণীয়ও ছিল। তবে এর জবাব এসেছিল নানা ভাবে। আজ এর উত্তরগুলিই আলোচনা করে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন– ২০২৩-এ আর জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই, নতুন বছরের শুরুতেই কি পারদ পতন? জেনে নিন
advertisement
কিন্তু কে এই সংখ্যাটি আবিষ্কার করেছিলেন?
এই সংখ্যাটিকে কাপ্রেকর কনস্ট্যান্ট বলে ডাকা হয়। এর পিছনেও অবশ্য একটা কারণ রয়েছে। আসলে এই সংখ্যাটি আবিষ্কার করেছিলেন ভারতীয় গণিতবিদ দত্তাত্রেয় রামচন্দ্র কাপ্রেকর। মহারাষ্ট্রের দেবলালি শহরতলির একটি স্কুলে অঙ্ক শেখাতেন তিনি। ১৯৪৯ সালে চেন্নাইয়ের এক গণিত সম্মেলনে গোটা বিশ্বের সামনে তিনি এই ম্যাজিক্যাল সংখ্যাটিকে তুলে ধরেছিলেন। এবার সেই বিষয়টাই ভেঙে বলা যাক। এর জন্য অবশ্য গণিতের সমীকরণ বোঝা আবশ্যক।
উদাহরণ:
যে কোনও চার অঙ্কের একটি সংখ্যা নিতে হবে। আমরা এখানে নিচ্ছি ১২৩৪।
এবার এই সংখ্যাটিকে বড় থেকে ছোট সংখ্যায় সাজাতে হবে। অর্থাৎ নতুন ভাবে সজ্জিত সংখ্যাটি হবে ৪৩২১।
আবার সংখ্যাটিকে ছোট থেকে বড় সংখ্যায় সাজাতে হবে। অর্থাৎ সংখ্যাটি হবে ১২৩৪।
এবার বড় সংখ্যাটি থেকে ছোট সংখ্যাটিকে বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ বিয়োগ করতে হবে। যার অর্থ হল, ৪৩২১ – ১২৩৪ = ৩০৮৭
আরও পড়ুন– একটা ঘোড়ার লেজ নেই, খুঁজে দিতে পারবেন তাকে বাকি ঘোড়ার ভিড়ে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে?
এরপর এই বিয়োগফলটিকে আগের মতোই বড় থেকে ছোট এবং ছোট থেকে বড় সংখ্যায় সাজাতে হবে। তারপরে বিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ বিষয়টা দাঁড়াবে ৮৭৩০ – ০৩৭৮ = ৮৩৫২।
এবার এই সংখ্যাটিকে নিয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। তাহলে বিষয়টা দাঁড়াবে ৮৫৩২ – ২৩৫৮ = ৬১৭৪।
এভাবে যখন একটি চার অঙ্কের সংখ্যাকে এই কৌশলে বিয়োগ করা হয়, তখন চূড়ান্ত ফল হয় ৬১৭৪। যে কোনও রকম চার অঙ্কের সংখ্যাতে এটাই ঘটবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই কারণেই এই সংখ্যাটিকে ম্যাজিক্যাল সংখ্যা বলা হয়।