TRENDING:

Knowledge Story: গল্প নয়, নিখাদ সত্যি! দু’বার বরফাবৃত পৃথিবীতে বেঁচেছিল প্রাণ, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা

Last Updated:

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে দু’টি তুষারযুগ ছিল। সেসময় পৃথিবী সম্পূর্ণ বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গেলেও বজায় ছিল প্রাণের অস্তিত্ব।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে। তা থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে মানুষ।
গল্প নয়, নিখাদ সত্যি! দু’বার বরফাবৃত পৃথিবীতে বেঁচেছিল প্রাণ, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা (Photo- Shutterstock)
গল্প নয়, নিখাদ সত্যি! দু’বার বরফাবৃত পৃথিবীতে বেঁচেছিল প্রাণ, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা (Photo- Shutterstock)
advertisement

কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক বিষয়। এটি এই নীল গ্রহের প্রাকৃতিক বিষয়। বিজ্ঞানীরা আসলে বোঝাতে চেষ্টা করছেন যেন পৃথিবী আর কখনও মনুষ্য বসবাসের অনুপযুক্ত না হয়ে পড়ে।

এর আগেও পৃথিবী চরম অবস্থায় গিয়েছে। কবে কখন এমন অবস্থা হল, কেন হল, সে বিষয়ে গবেষণা খুবই জরুরি। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে দু’টি তুষারযুগ ছিল। সেসময় পৃথিবী সম্পূর্ণ বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গেলেও বজায় ছিল প্রাণের অস্তিত্ব।

advertisement

প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল তুষার যুগ। বরফের গোলায় পরিণত হয়েছিল নীল এই গ্রহ। তখন পৃথিবী পুরোটাই বরফে ঢেকে গিয়েছিল। বাইরে থেকে দেখলে একটি সাদা বরফের গোলা বলেই মনে হতে পারত। চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সের একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।

আরও পড়ুন- আগামী আড়াই বছরে কেমন হবে শনির দশা? জেনে নিন ১২টি রাশির মধ্যে কার ওপর প্রসন্ন হবেন শনিদেব

advertisement

ছিল সামুদ্রিক জীবেরা

দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এর আগে যতটা ভাবা গিয়েছিল তার থেকে অনেকবেশি বিস্তৃত ছিল সামুদ্রিক বাসস্থানের পরিবেশ। প্রাপ্ত জীবাশ্মগুলি থেকে এমনই বোঝা যায়। এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর পিছনে রয়েছে মধ্য চিনের হুবেই প্রদেশে পাওয়া সামুদ্রিক শৈবালের জীবাশ্ম। নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।

Photo: Shutterstock

advertisement

দু’টি তুষারযুগ

সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, পৃথিবীতে দু’বার তুষারযুগ এসেছে। যাকে বলা হয় স্টার্টিয়ান এবং মেরিনোয়ান বরফ যুগ। মোটামুটি ৭২ থেকে ৬৩.৫ মিলিয়ন বছর আগে ক্রায়োজেনিয়ান যুগে ঘটেছিল এই তুষারপাতের ঘটনা। পরবর্তী জীবনপ্রবাহে এই তুষারযুগের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত বেশি। হিমায়িত অবস্থাতেই বহুকোষী জীব বেঁচেছিল পৃথিবীতে, এমনই প্রমাণ মিলেছে গবেষণায়।

advertisement

ক্রাইসোজেনিয়ান সময়টি সমুদ্রের ভূমিরূপের পুনর্গঠন এবং প্রাণীদের প্রবর্তনকে চিহ্নিত করেছে। পৃথিবীর জীবজগতের উপর সবচেয়ে বড় জলবায়ুগত প্রভাব ছিল এটি। এমনই মনে করেন চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সেস-এর ভূবিজ্ঞানী এবং গবেষণার প্রধান লেখক হুইউ সং।

আরও পড়ুন- ভেঙেছে দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসার, এরই মাঝে বোল্ড লুকে তাক লাগালেন পর্দার ‘অঙ্গুরী ভাবী’!

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে মারিনোয়ান তুষারযুগের শেষের দিকে মধ্য-অক্ষাংশ মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরফ-মুক্ত জল ছিল। আর তা থেকেই বোঝা যায় সামুদ্রিক ঘাস বা বহুকোষী প্রাণী কী ভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

এককোষী থেকে বহুকোষী জীবন

৪.৫ বিলিয়ন বছর আগের পৃথিবীতে প্রথন উদ্ভব হয়েছিল এককোষী জীবের। তারও প্রায় ২ বিলিয়ন বছর পরে জন্মায় বহুকোষী প্রাণী। তবে ক্রায়োজেনিয়ানের পরেই পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা ফিরতে শুরু করে। সেকারণেই প্রায় ৫৪০ মিলিয়ন বছর আগে জীবনের বিকাশ শুরু হয়।

যেভাবে এল তুষার যুগ

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

গবেষকরা বলছেন তুষারযুগ আসার আগে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তার ফলে মেরুদেশ থেকে বরফ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। ক্রায়োজেনিয়ান যুগে, লাল-সবুজ শৈবাল এবং ছত্রাকের মতো বহুকোষী জীবের বিকাশ ঘটেছিল এবং তুষারযুগেও তারা নিজেদের রক্ষা করতে সফল হয়েছিল।

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Knowledge Story: গল্প নয়, নিখাদ সত্যি! দু’বার বরফাবৃত পৃথিবীতে বেঁচেছিল প্রাণ, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল