থিম্পু: ভারতের পাশেই রয়েছে পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট সুন্দর দেশ ভুটান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাক্ষী থাকতে পর্যটকরা ভিড় জমান এখানে। রয়েছে একাধিক দর্শনীয় হিন্দু এবং বৌদ্ধ মন্দির। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এই দেশে নেই একটিও মসজিদ। তবে দেশে যে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ নেই, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। তাঁরা বহু বার ভুটান সরকারের কাছে মসজিদ নির্মাণের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তা কখনওই মেলেনি। তবে এই দেশের রাজধানীর কমিউনিটি বিল্ডিংয়ের ভিতর একটি কক্ষ রাখা হয়েছে, যেখানে নমাজ পড়তে পারেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।
advertisement
আসে ছোট্ট এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ। মোট জনসংখ্যার ৮৪.৩% বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আর ১১.৩% হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ফলে এখানে বৌদ্ধ মঠ এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে প্রচুর। তবে এখানে মুসলিম রয়েছেন মাত্র ১%। যার অর্থ হল ভুটানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজারের মধ্যে। মসজিদের দাবি জানানো সত্ত্বেও ভুটান সরকার সেই দাবি মানেনি। এমনকী ভবিষ্যতে এমন কিছু করার পরিকল্পনাও নেই তাদের। ফলে মুসলিমরা নিজেদের বাড়িতে আলাদা ভাবে কক্ষ তৈরি করেই সাধারণত নমাজ পড়ে থাকেন।
আরও পড়ুন– মাথায় দু’টি মোড়! এমনটা হওয়ার পিছনে কারণ কী, জেনে নিন বিস্তারিত
আরও পড়ুন– গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া আরও কত দিন? আবহাওয়ার উন্নতি কবে, জেনে নিন
তবে ভুটানের রাজধানীতে রয়েছে একটি বিশাল হিন্দু মন্দির। সেখানে নানা দেবদেবীর মূর্তি আসীন রয়েছে। তবে এই দেশের হিন্দুরা সাধারণত ভগবান গণেশ এবং দেবী দুর্গার উপাসনা করে থাকেন। ভুটানে বসবাসকারী বৌদ্ধরা সাধারণত এর বজ্রযান শাখার অন্তর্গত। এমনকী দেশের রাজাও এই শাখার সঙ্গে যুক্ত। তবে ভুটানে কিন্তু সকল ধর্মের মানুষকেই স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ভুটানের হিন্দুরা সাধারণত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বসবাস করেন। তাঁদের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি।
তবে কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, এই দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা থাকলেও তাঁদের জন্য গির্জা নির্মাণের অনুমতি দেয়নি ভুটান সরকার। ভুটানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এঁরা মূলত নেপালি।