হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মা কালীর হাতে কলাসুর বধের প্রতীকী হল কুমারী পুজো৷ কথিত রয়েছে, কলাসুর স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নিয়েছিল৷ দেবতারা মা কালীর কাছে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেন৷ তাদের আর্তি শুনে মা কালী আবার জন্ম নেন শিশুকন্যা রূপে এবং কলাসুর বধ করেন৷
যোগিনীতন্ত্র, কুলরনবতন্ত্র, দেবীপূরাণ, স্তোত্র, কবচ, সহশ্রমণ, তন্ত্রসর, প্রান্তসিনী ও পুরোহিতদর্পণে কুমারী পজোর উল্লেখ রয়েছে৷
advertisement
এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল কুমারীকে পুজো করার সময় দেখা হয় না তার ধর্ম, জাত৷ ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যেকোনও মেয়েই কুমারী হতে পারে৷ এমনকী, বারবণিতার সন্তানও কুমারী রূপে পূজিতা হতে পারে৷
বিশ্বাস করা হয় কুমারী পুজো করলে সব বিপদ কেটে যায়৷ দার্শনিক মতে কুমারী পুজো সমাজে মেয়েদের মূল্য প্রতিষ্ঠা করে৷ কুমারীত্বকে মনে করা হয় শক্তির বীজ, সৃষ্টি, স্থিতি, লয়ের প্রতীক৷ নারীত্ব ও প্রকৃতির প্রতীক কুমারীত্ব৷ মনে করা হয় কুমারীর মধ্যেই নেমে আসেন মা৷