এসবের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এলেন এক নাবালিকা। অভিযোগ, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের উপর লাগাতার অত্যাচার চলছিল। প্রাণ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে তিনি পশ্চিমবঙ্গের ফতেপুর বিএসএফ-এর ১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কিশনগঞ্জ বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে চলে আসেন।
advertisement
মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের ফতেপুর বিএসএফ এলাকায় নাবালিকাকে দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। এত রাতে এক কিশোরীকে একা এভাবে ঘুরতে দেখে চমকে যান তাঁরা। কাছে গিয়ে নাম-পরিচয় জানতে চান। তখন বাংলাদেশে অত্যাচারের কথা খুলে বলেন নাবালিকা। জানান, তিনি পালিয়ে ভারতে চলে এসেছেন। এরপর সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে চোপড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা। তাঁর পরিবার ইসকনের সঙ্গে যুক্ত। নাবালিকার দাদু জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ইসকনের সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলির উপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। বাড়ির মেয়েদের যে কোনও সময় তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে দুর্বত্তরা। তাই প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়েই ভারতে পালিয়ে এসেছেন ওই নাবালিকা।
আরও পড়ুন– দুই মহিলাকে নিয়ে ‘পুষ্পা ২’ দেখতে গিয়েছিলেন যুবক, তারপর যা হল ! খোদ এসপি ছুটে এলেন
নাবালিকার পরিবার এখনও বাংলাদেশেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর দাদু। তিনি জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী। মা-ও অসুস্থ। তাঁরা মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তাই কিশোরীকে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে কীভাবে ওই কিশোরী পঞ্চগড় থেকে পশ্চিমবঙ্গে এলেন তা তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলতে পারেননি। মেয়েটিও আতঙ্কে রয়েছেন। খুব বেশি কথা বলতে পারছেন না।
কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ইসকনের সঙ্গে যুক্ত জানতে পারলেই খুন, ধর্ষণের মতো নৃশংস অত্যাচার করা হচ্ছে। তাঁরা বাংলাদেশে বসবাসকারী সনাতনীদের সুরক্ষায় অবিলম্বে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
জলপাইগুড়ির বেলাকোবা এলাকায় নাবালিকার এক আত্মীয় থাকেন। ভারতে এসে তাঁদের কাছেই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিশোরীর। পুলিশ রাতেই আত্মীয়দের চোপড়া থানায় ডেকে আনে। জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তারপর পুলিশ এবং বিএসএফের কর্তারা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। শেষে জেলা শিশু কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে মেয়েটিকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।