কেরলের কিসবো বেলুন বিক্রি করে অন্নসংস্থান করেন৷ তাঁর ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন এক আলোকচিত্রী৷ তার পর থেকেই ইন্টারনেটের সেনসেশন এই দরিদ্র কিশোরী৷ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে মাহেশের রথের মেলায় বনফুলের মালা বিক্রি করতে যাওয়ার ঘটনা আমূল পাল্টে দিয়েছিল দরিদ্র বালিকা রাধারাণীর জীবন৷ সেরকমই কিসবোর জীবনের পটপরিবর্তন হল মেলায় বেলুন বিক্রি করতে গিয়ে৷
advertisement
আরও পড়ুন : মরশুমি রোগ থেকে দূরে থেকে মাধ্যমিক দিতে কেমন হবে পরীক্ষার্থীর ডায়েট? জানালেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
খবরে প্রকাশ, প্রত্যন্ত গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের কিসবোর আজন্মসঙ্গী দারিদ্র৷ পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয় অল্পবয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগের পর৷ এর পর থেকে তাঁর এবং মায়ের মুখে খাবার তুলে দিতে রঙিন বেলুনই হয়ে ওঠে কিসবোর বর্ণহীন জীবনের ভরসা৷
কিন্তু প্রত্যেক ঘন কালো মেঘের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে রূপোলি বিদ্যুৎরেখা, তেমনই কিসবোর জীবনেও অন্ধকারেই চাপা পড়ে ছিল আলোর রেখা৷ তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরল কুন্নুরের এক মেলায়৷ আলোকচিত্রীর চোখে পড়ে যান তিনি৷ কিসবো এবং তাঁর মায়ের অনুমতি নিয়েই ছবি তোলা হয়৷ সেই ছবি ইন্টারনেটে শেয়ার হতেই রাতারাতি তারকা হয়ে যান কিশোরী৷
আরও পড়ুন : এপ্রিল ফুল-এর আগেই উরিবাবায় হাজির তিন আহাম্মক, তাঁদের সঙ্গে আবার পা দিন একুশে
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কিসবো-র মেক ওভারের দায়িত্ব নেওয়া হয় কুন্নুরের এক বিউটি সালোঁ-র তরফে৷ নতুন রূপে নতুন সাজে আবার কিসবোর ছবি তোলা হয়৷ ফের ভাইরাল কিশোরী বেলুনওয়ালি৷
দারিদ্র্যের জীবন থেকে মুক্তি পান মেয়ে, একান্ত ইচ্ছে কিসবো-র মাও৷ তাঁর ইচ্ছে মেয়ে প্রচুর লেখাপড়া করুক৷ যাতে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে৷ পাল্টে যাওয়া জীবনে যেন মেয়েকে আর বেলুন বেচতে না হয়, স্বপ্ন দেখছেন কিসবোর মা৷ কিসবো নিজেও৷