চলতি বছরে বুধবার, ৪ অগাস্ট কামিকা একাদশী পালিত হবে। এইদিনে ভক্তরা বিধি মেনে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করে থাকেন।
শাস্ত্রমতে কামিকা একাদশী তিথিকে সবচেয়ে প্রসন্ন একাদশী তিথি বলা হয়ে থাকে, কেননা বছরের চাতুর্মাস্য তিথির সূত্রপাত হয় কামিকা একাদশী থেকে। এইদিন থেকেই ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণ চার মাসের জন্য নিদ্রা যান। পঞ্জিকা মতে এই একাদশী পালন করলে পাপমুক্তি ঘটে, ব্যক্তির সমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ হয়। শাস্ত্রমতে আমাদের প্রত্যেকটি একাদশীরই আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। জেনে নিন কী ভাবে কামিকা একাদশী উদযাপন করে বিষ্ণুকে প্রসন্ন করা যায়।
advertisement
কামিকা একাদশী তিথির শুভক্ষণ:
চলতি বছরে ৪ অগাস্ট, বুধবার কামিকা একাদশী তিথি পালিত হবে।
একাদশী তিথি শুরুর সময় মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে।
একাদশী তিথি সমাপ্ত হবে বুধবার, ৪ অগাস্ট, দুপুর ৩টে বেজে ১৭ মিনিটে।
কামিকা একাদশী তিথির পরাণের সময়:
তিথির পরাণের সময় বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট, সকাল ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের মধ্যে।
কামিকা একাদশীর তিথির পুজাবিধি:
ভক্তরা এইদিন সকালে, বিশেষ করে ব্রক্ষ্মমুহূর্তে (সূর্যোদয়ের দু’ঘন্টা পূর্বে) উঠে স্নান সেরে শুদ্ধ মনে, শুদ্ধ হরিতাভ বস্ত্রে ফুল, ভোগ সহযোগে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করেন। শাস্ত্রমতে মনে করা হয়, এইদিনে পুজোর পর ভগবানের আরাধনা করলে ব্যক্তি জীবনে পাপ ও দুঃখভোগ থেকে মুক্তি পান।
এরপর ব্রতকারীরা ফলমূল, নিরামিষ ভোজন বা অরন্ধ্রনজাত খাবার খেয়ে ব্রত ভাঙ্গতে পারেন।
কামিকা একাদশীর তিথির মাহাত্ম্য:
হিন্দুশাস্ত্র মতে বলা হয়ে থাকে, মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে এই কামিকা একাদশী তিথির মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে শুনিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন এইদিনে ভক্তরা যদি শুদ্ধ মনে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করেন তবে ভক্তের জীবনের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাবে এবং দুঃখভোগ থেকে ভক্তের নিস্কৃতি লাভ হবে।