উত্তরপ্রদেশের প্রেক্ষাপটে অভিনীত ওই ছবিতে বিয়ের দিন বরযাত্রী নিয়ে উপস্থিত পাত্রের বাবা জানতে পারেন কনে অর্থাৎ আরতি শুক্লা পিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই চাকরির নিশ্চয়তায় আরতি বিয়ে ছেড়ে চাকরির জন্য পালিয়ে যান। পরে অবশ্য সত্তু অর্থাৎ গল্পের হিরো আরও বড় পদে চাকরিলাভ করে আরতির ওপর প্রতিশোধ নেন। যদিও সেই দিন কনে ছাড়াই বিয়ের শোভাযাত্রা ফিরিয়ে আনতে হয় বরপক্ষকে। কিন্তু জৌনপুরের এই বাস্তব জীবনের গল্পটা একটু অন্যরকম। বিয়ের দিন কনের বাড়িতে বরযাত্রী উপস্থিত হন। কিছু সময় পর, কনে করিশমা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা পদের জন্য নির্বাচিত হওয়ার খবর পান। এরপর বিয়ের আনন্দ যেন আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। সঙ্গত কারণেই মহা আনন্দে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
advertisement
আরও পড়ুন– ১৫০ টাকায় হুডি, ২০০ টাকায় জ্যাকেট; কোথায় মিলছে শীতপোশাকে এমন চমৎকার অফার?
তথ্য অনুযায়ী, বক্সা থানা এলাকার পরশুরামপুর লাখুয়া গ্রামের বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ উপাধ্যায়ের মেয়ে করিশমা উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বিয়ের দিন সন্ধ্যায় পরীক্ষার ফল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আনন্দে মেতে ওঠেন। ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় করিশমা উপাধ্যায়ের বিয়ে ছিল এবং বরযাত্রীও এসেছিলেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই। একই সময়ে, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চাকরির ফলাফলের খবরও আসে। প্রার্থীদের তালিকায় করিশমার নাম নির্বাচিত হয়েছে দেখে সকলেই আনন্দে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন– শতাব্দীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়ে, মেয়ের বিদায়ে জলের মতো ৫ বিলিয়ন টাকা খরচ করলেন বাবা
আনন্দ প্রকাশ করেছেন করিশমার মা মীনা উপাধ্যায়, বাবা নরেন্দ্র, ভাই অনুরাগ উপাধ্যায়, দিবাকর উপাধ্যায়, দিলীপ মিশ্র, বিশেষ উপাধ্যায়, মিথিলেশ পাঠক প্রমুখরা। এছাড়াও করিশমার এই প্রাপ্তিতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির মানুষজনও আনন্দে মেতে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই খবর আপলোড হতেই অনেকেই করিশমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।