শার্টে পকেট না থাকায় সত্যিই মেয়েদের এটা একটা সমস্যা। আপনি হয়তো বেশ কিছু জিনিস নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোলেন। এরপর একটা ভিড় বাসে উঠলেন। তখন তো আর মোবাইল খুচরো টাকা আবার হাতব্যাগে ঢোকানো যায় না। তখন মনে হয় যে, একটা পকেট থাকলে ভালো হত। চট করে আমরা ট্রাউজারে খুচরো টাকা বা মোবাইল ঢুকিয়ে রাখতে পারতাম। কিন্তু যদিও তা হয় না।
advertisement
মেয়েরা কী চান?
মেয়েরা সত্য়িই তাদের পোশাকে পকেট চান কিনা তা নিয়ে মিশ্র মত রয়েছে। শার্টে পকেট না থাকলেও কুর্তায়, ড্রেসে বা ট্রাউজারে যদি পকেট থাকে তাহলে সত্যিই অসুবিধা হয়। ফ্যাশনে যখন মিনিব্যাগ ইন, তখন এই ছোট পকেট কেন সব ব্র্যান্ডই তাদের পোশাকে যোগ করে না, এটা সব মহিলাদেরই প্রশ্ন। এ বিষয়ে সকলেই প্রায় একমত, সত্য়িই মেয়েদের পোশাকে পকেট থাকা জরুরি, ঠিক যেমন পুরুষদের পোশাকেও জরুরি!
সৌন্দর্য নষ্ট হবে
প্রাচীন সময়ে যখন মেয়েদের শার্ট বা টপ ডিজাইন করা হতো, তখন সেই শার্টে বা টপে কোনও পকেট যোগ করা হত না। তখন মনে করা হত, যদি মেয়েদের জামায় পকেট থাকে, তাহলে সেই পকেটে তারা কিছু না কিছু রাখবেনই। আর এই কারণে তাদের ‘সৌন্দর্য’ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করতেন তৎকালীন ডিজাইনাররা। সেই জন্য পোশাকে পকেট দেওয়া হত না। মেয়েরাও সেই ধরনের পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।
বৈজ্ঞানিক কারণ
ঠিক কী কারণে মেয়েদের পোশাকে পকেট থাকে না? আসলে এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ নেই! কিন্তু পুরনো মানসিকতাই এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রাচীন সময়ে যেহেতু পকেট রাখা হতো না, সেই সময় থেকেই একই বিষয় চলে আসছে। যদিও বর্তমানে মহিলারা এর প্রতিবাদ করেছেন। তারা পোশাকে পকেট রাখার দাবিও জানিয়েছেন। এখন মেয়েরা নিজেদের পছন্দ মতো পোশাকে পকেট যোগ করেন। সেরকম ধরনের পোশাক পরেন, যা তাদের নিজের পছন্দ।
সময়ের পালাবদল
গত শতাব্দীতেও অধিকাংশ মহিলারাই চাকরিজীবী ছিলেন না। তাদের নিজেদের টাকা বহন করার কোনও অধিকার কার্যত ছিল না। তারা সব সময়ই বাড়ির পুরুষ সদস্যের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তাই তাদের পোশাকে পকেট রাখারও প্রয়োজন ছিল না। এরপর মেয়েরা হাতব্যাগ বা হ্যান্ডব্যাগ কিংবা পার্স ব্যবহার করতে শুরু করেন। তাতেই নিজেদের সামগ্রী রাখা শুরু করেন। তাই পোশাকে পকেট ফিরিয়ে আনার বা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়েনি। তবে এখন মেয়েরা নিজেদের পছন্দ মতো পোশাক পরেন। সেখানে তারা পকেট রাখতেও পারেন আবার নাও পারেন, এটা একান্তই নিজের পছন্দ।