সম্প্রতি ‘ভিখারিমুক্ত’ ইনদওর গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তারপরেই অভিযানে নামে পুলিশ। পাঁচ দিন আগে কালেক্টর আশিস সিংয়ের নির্দেশে শুরু হয় অভিযান। তখনই শিশু-সহ ধরা পড়েন রূপালি জৈন ইন্দিরা নামের এক মহিলা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, ‘‘আমি শুধু ভিক্ষে করি, চুরি করি না।’’ পাশাপাশি তিনি মাত্র ৪৫ দিনে আড়াই লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন বলেও জানান পুলিশকে।
advertisement
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই মহিলার নাম ইন্দিরা। তাঁর নামে একটি বাইকও আছে। এমনকী তাঁর লাইসেন্সও রয়েছে। তবে ইন্দিরা বাইক চালাতে জানেন না। কিন্তু তারপরেও লাইসেন্স কীভাবে পেলেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশকে ইন্দিরা জানিয়েছেন, নিজের উপার্জনের টাকা তিনি নিজের কাছেই রাখেন। স্বামীর উপার্জনে হাত দেন না। সন্তানের রোজগারের কানাকড়িও নেন না। ইন্দিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাওয়ার পরই স্বামী অমরলাল দুই সন্তান-সহ রাজস্থানে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রায় ৮ বছর ধরে ভিক্ষা করছেন মহিলা:
‘ভিক্ষুকমুক্ত ভারত’ অভিযান শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই ইনদওরেপ কালেক্টর শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের নির্দেশ দেন। সাত সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর। মন্দির সংলগ্ন এলাকা এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে অভিযান।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি লবকুশ মোড়ের অভিযানে ধরা পড়েন মহিলা। তাঁর ৫ সন্তান। দুই সন্তান রাজস্থানে থাকে। বাকি ৩ সন্তান এবং স্বামীকে নিয়ে ইনদওরে ভিক্ষা করেন তিনি। মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গে স্বামী দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেলেও ওই মহিলা ধরা পড়ে যান।
জানা গিয়েছে, ভিক্ষা করে ৭ দিনে ১৯,২০০ টাকা আয় করেছেন ওই মহিলা। এক লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে। ছেলেদের নামে ৫০ হাজার টাকার এফডি করেছেন। অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। আর খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখেছেন। ওই মহিলাকে জেলা আদালতে পেশ করা হয়। বাচ্চাদের চিলড্রেন্স সার্ভে হোমে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তাদের শিক্ষা কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।