জাপানে রাতে স্নানের অভ্যাসটি এসেছে তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য থেকে। বিশ্বাস করা হয়, রাতে স্নান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন এবং ময়লা ধুয়ে যায়। ফলে আরামের ঘুম হয়।
দক্ষিণ কোরিয়াতেও লোকজন দীর্ঘ সময় ধরে সারাদিনের কাজ শেষ করার পর স্নান করতে পছন্দ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং কানাডার মতো দেশে অবশ্য দিনে স্নান করাটাই রেওয়াজ।
advertisement
আরও পড়ুন- বিরাট কোহলির ভক্ত আপনি? এই খবরে মন খারাপ হবে তা হলে, ১৬ বছরে এমন হয়নি
চিনা সংস্কৃতিতে রাতে স্নান করা দৈনন্দিন স্বাস্থ্যবিধির একটি অপরিহার্য অংশ। বিশ্বাস করা হয়, রাতের স্নান দিনের বেলা বাইরের জগতে যাওয়ার মাধ্যমে অর্জিত সমস্ত নেতিবাচক শক্তির সাথে মানসিক চাপও দূর করে। এটি শরীরকে সতেজ করে এবং রাতে আরামদায়ক ঘুম হয়।
চিনের জলবায়ু আর্দ্র এবং গ্রীষ্মের প্রভাব বেশি সেখানে। সেই কারণে সেখানকার মানুষের প্রচুর ঘাম হয়। এর ফলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া দেখা দিতে পারে। স্নান শুধুমাত্র শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে না, সংক্রমণের বিস্তার রোধেও সাহায্য করে।
শোওয়ার আগে স্নান করা আরাম এবং বিশ্রাম নেওয়ার প্রধান উপায় হিসাবে দেখা হয়। অনেক জাপানি শ্রমিককে দিনে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয়। তাই শোওয়ার আগে স্নান তাদের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
রাতের স্নান শরীরের ঘাম, ময়লা ধুয়ে ফেলে। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় বসবাসকারী লোকেরা বেশি ঘামে। ফলে রাতে স্নান করলে বিছানার চাদরে ময়লার পরিমাণ কম হয়। রাতে স্নান করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
সকালে স্নানে উপকারিতা-
– দিন শুরু করার শক্তি পাওয়া যায়।
– রাতের হ্যাংওভার দূর করে। সতেজতার অনুভূতি দেয়।
– মনটা চনমনে থাকে।
– যারা রাতে ঘুমাতে গিয়ে প্রচুর ঘামেন, তাদের জন্য সকালের স্নান জরুরি।
আরও পড়ুন- শামিকে খুব পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! বাংলার বোলারকে বললেন এবার ‘বড় কথা’
বিজ্ঞান এবং বিশেষজ্ঞরাও রাতে স্নানকে প্রাধান্য দিচ্ছে। সারাদিন ছোটাছুটির পর স্নান করলে শরীর সতেজ হয়। রাতে স্নান করলে সারাদিনের ক্লান্তি কয়েক মিনিটের মধ্যেই দূর হয়ে যায়। ঘুমও ভাল হয়। এ কারণেই অনেকে সকালের পাশাপাশি রাতেও স্নান করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর আগে গরম জলে স্নান করলে ভাল ঘুম হয়।