কিন্তু ঘটনাটা আসলে কী। গ্রীষ্মের মরশুমে ট্রেনের ভিড়ও ক্রমবর্ধমান। আর সেই কারণে প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছেন টিকিট পরীক্ষকরা। যাত্রীদের টিকিট আছে কি না, মূলত সেটাই দেখা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের কারণে অনিয়মিত যাত্রীর সংখ্যা তো কমেছেই, সেই সঙ্গে বেড়েছে রেলের আয়ও। গত এক মাসে প্রায় ৫৩ হাজার যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর এর ফলে তাঁদের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ৩.৫২ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।
advertisement
আসলে ট্রেনে পরিদর্শন অভিযানের সময়ে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ধূমপান, অনিয়মিত ভ্রমণ, বুকিং বিহীন মালপত্র, ময়লা ফেলা সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। আর রেলের নিয়ম মেনেই অভিযুক্তদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। রেলওয়ের মতে, ট্রেনের বহু যাত্রীই রয়েছেন, যাঁরা নিজের আসন কিংবা বার্থে বসে ধূমপান করেন না। বরং তার জন্য শৌচাগারে চলে যান। আর টিটিই-দের বাহিনী শৌচাগারের আশপাশ থেকে সিগারেট কিংবা বিড়ির গন্ধ পেলে দরজায় টোকা দেয়। আর যাত্রী দরজা খুলতে বাধ্য হলে ভিতরে ধোঁয়াও দেখা যায়। ফলে রেলওয়ে এই ধরনের যাত্রীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অভিযুক্ত ৫৩ হাজার যাত্রীর মধ্যে কেউ কেউ ধূমপান ও গুটখা সেবন করেছেন, তো কেউ বা আবার ট্রেন নোংরা করেছেন। অভিযানকারীদের দলে থাকা সাজিদ আনোয়ার এপ্রিল মাসে প্রায় ১০১১টি মামলা থেকে ৭.৭৫ লক্ষ টাকা এবং হামিদ প্রায় ৯৪৯ জন যাত্রীর কাছ থেকে ৭.০৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, যাত্রীদের বিরুদ্ধে উঠেছে শিকল টানার অভিযোগও। এপ্রিল মাসে আগ্রা বিভাগে যথাযথ কারণ ছাড়াই অ্যালার্ম চেন টানার জন্য ২৩০ জন যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে তাঁদের থেকে ১৪৮২০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। এই ঘটনায় আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে ৮৬ জন, আগ্রা ফোর্ট স্টেশনে ৯ জন, মথুরা জংশনে ১১৮ জন, কোসিকালান স্টেশনে ১২ জন এবং ধৌলপুর স্টেশনে ৩ জন যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জরিমানা আদায় করা হয়েছিল।