আরও পড়ুন– সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক মূল্য কমিয়ে দিল ভারত সরকার
লখনউয়ের সুপারিন্টেন্ডেস্ট অফ রেলওয়ে পুলিশ প্রশান্ত কুমার বলেন যে, ট্রেনে চুরি-চামারি রুখতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালায় জিআরপি। আর সেই অভিযানেই ধরা পড়ে অপরাধীরা। আর এতে তুমুল সাফল্য পেয়েছে জিআরপি। যেসব অপরাধীরা ট্রেনে চুরি করে, তারাও জিআরপি-র জালে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, এই অভিযানে মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয় এবং তা মালিকের হাতেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
এক ইনফর্মারের থেকে তথ্য পেয়েছিল জিআরপি। তারা জানতে পেরেছিল যে, ১৪৬৭৩ অমৃতসর জয়নগর এক্সপ্রেস থেকে মোবাইল চুরি যাচ্ছে। আর এই তথ্য পেয়েই ২ মার্চ তদন্ত শুরু করে জিআরপি টিম। আর অভিযানে নেমেই অভিযুক্ত সঞ্জীব কুমার গাঙ্গওয়ারকে পাকড়াও করা হয়। পিলিভীটের বিশালপুর জেলার চাঁদপুরা থানা এলাকার বাসিন্দা সুরেশচন্দ্র গাঙ্গওয়ারের পুত্র সে। অভিযুক্তের বয়স ২১ বছরের পাশাপাশি। তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৫ (বি)/ ৩১৭ (২) ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, “রেলে আমি কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করি। আর আমি বেডশিট এবং ব্ল্যাঙ্কেট দেওয়ার সময় কাকে নিজের শিকার বানাব, সেটা চিহ্নিত করে রাখতাম। আর তারপর যাত্রীদের কাছ থেকে মালপত্র, নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন চুরি করতাম। আর আমি যেহেতু অ্যাটেন্ডেন্ট ছিলাম, তাই যাত্রীরা আমায় সন্দেহ করত না।”
জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে এ-ও জানায় যে, দীর্ঘ সময় ধরেই এই কাজ করছে সে। আর খুব কম দামেই চুরি করা মোবাইল অন্যান্যদের কাছে বিক্রি করে দিত সে। আর সেই টাকা দিয়ে নিজের ইচ্ছা পূরণ করত। আপাতত জিআরপি গ্রেফতার করেছে তাকে।